OperationShield
ক্লাউড টিভি ডেস্ক | ২৯ মে ২০২৫ : সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সিভিল ডিফেন্স মহড়ার (Mock Drill) ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার। তবে শেষ মুহূর্তে ‘অপারেশন শিল্ড’ (OperationShield) নামের এই মহড়া প্রশাসনিক কারণে বাতিল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এই মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর—পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট ও জম্মু-কাশ্মীরে—বেসামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তুতি যাচাই এবং নাগরিকদের সচেতন করা।
‘অপারেশন শিল্ড’ নামের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি অনুকরণ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন করার কথা ছিল। এর মধ্যে ছিল:
বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন বাজানো
রাতের সময় ব্ল্যাকআউট অনুশীলন
নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার অনুশীলন
স্বাস্থ্য সেবার প্রস্তুতি যাচাই
এই মহড়ার সময়সূচি অনুযায়ী রাজস্থান ও পাঞ্জাবে ৩০ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল মহড়া। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রাজস্থানে মহড়াটি বাতিল করা হয়। পাঞ্জাব সরকার জানিয়েছে, তারা ৩ জুন এই মহড়া আয়োজনের নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে।
২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরাপত্তা সদস্য নিহত হন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সীমান্তে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামক পাল্টা অভিযানে অংশ নেয়, যার মাধ্যমে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করা হয়।
এই পরিস্থিতিতেই ভারত সরকার সিভিল ডিফেন্স মহড়ার পরিকল্পনা নেয়। এর মাধ্যমে বেসামরিক নাগরিকদের যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সরাসরি সম্পৃক্ত করা সম্ভব হতো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের মহড়া কেবল সামরিক নয়, সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা, দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া এবং মানসিক প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী জনগণ প্রায়ই উত্তেজনার মধ্যে বাস করেন, এবং তাদের সচেতনতা বাড়ানো নিরাপত্তার একটি বড় অংশ।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, “মহড়ার মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের আচরণ এবং সরকারি ব্যবস্থার কার্যকারিতা যাচাইয়ের একটি দুর্দান্ত উপায় এটি।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রশাসনিক কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে মহড়াটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এটি নতুন তারিখে আয়োজনের চিন্তাভাবনা চলছে।
পাকিস্তানি ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ
তাজ আক্রমণে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করা NSG Commando জিগর ভাস এখন জেলবন্দী
পাঞ্জাব ইতিমধ্যেই বিকল্প দিন নির্ধারণে কাজ করছে। অন্য রাজ্যগুলিও পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজস্ব সময়সূচি তৈরি করবে।
যদিও মহড়াটি স্থগিত করা হয়েছে, তবে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয়—সীমান্তে যে কোনো রকম হুমকির মুখে প্রস্তুত থাকতে চায় প্রশাসন। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার ও নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোই এর মূল লক্ষ্য।
বিশেষ করে পহেলগাঁও হামলার পর এই প্রস্তুতি ভবিষ্যতের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবেই রইল।
আরও পড়ুন :
ব্রাজিলে আনচেলত্তির হোটেলের প্রতিদিনের খরচ প্রায় কত জানেন ?
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে অবশেষে একই ক্লাবে খেলতে চলেছেন মেসি রোনাল্ডো ?