‘অপারেশন সিন্দুর’-এ পাকিস্তান চীনা প্রশিক্ষিত NATO-স্টাইল আকাশযুদ্ধ কৌশল ব্যবহার করেছে, ভারতের সাফল্যে ফাঁস চীনের পরিকল্পনা

PakistanAirTactics ChinaNATOTraining

ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ চিনা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পদ্ধতি ব্যবহার করেছে (PakistanAirTactics ChinaNATOTraining) বলে ধারণা করছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। এই অভিযানে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো ন্যাটো ধাঁচের বিমান কৌশল অনুসরণ করে—যেমন জটিল বিমানগঠনের মাধ্যমে রাডার ফাঁকি দেওয়া, লক্ষ্যবস্তু বিভ্রান্ত করা ও সমন্বিত মিসাইল হামলা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান বিমান বাহিনীকে আধুনিক কৌশল ও প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ফলে এই অভিযান ভারতের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক উচ্চপ্রশংসিত প্রতিরোধ অভিযানে—‘অপারেশন সিন্দুর’—এ প্রমাণ মিলেছে, পাকিস্তান চীনের সহায়তায় পশ্চিমা (NATO) ধাঁচের আকাশযুদ্ধ কৌশল প্রয়োগ করেছে। ThePrint-এর অনুসন্ধানে প্রকাশ, চীনা প্রশিক্ষিত  পশ্চিমা যুদ্ধবিমান পাইলটদের মাধ্যমেই পাকিস্তান এই উচ্চস্তরের সামরিক কৌশল রপ্ত করেছে।

ধ্বংস PL-15 মিসাইল এবং পাকিস্তানি মিরাজ, চিন-পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতের

দলাই লামার ছদ্মবেশে পালানোর নাটকীয় ইতিহাস: তিব্বতের প্রাসাদ থেকে ভারতের অভিমুখে এক বিপজ্জনক যাত্রা

1️⃣ Launch-and-Leave কৌশল:

পশ্চিমা জেট ফোর্সগুলোর অন্যতম কৌশল যেখানে একটি বিমান দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নিজে নিরাপদ দূরত্বে সরে যায়। আর একটি কম দামী বা সাপোর্ট জেট লক্ষ্যকে রাডারে ধরে রাখে, যাতে ক্ষেপণাস্ত্র ঠিকভাবে গিয়ে আঘাত হানে।

• পাকিস্তান এই কৌশল ব্যবহার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, J-10 যুদ্ধবিমান ও Saab AEW&C (Airborne Early Warning and Control) প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে।

2️⃣ চীনের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা:

• চীন গত কয়েক বছরে NATO পাইলটদের উচ্চ বেতনে নিয়োগ করে তাদের মাধ্যমে “রেড ফোর্স” স্টাইল প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

• এই প্রশিক্ষণেই পাকিস্তানের আধুনিক যুদ্ধবিমানের টিম নতুন কৌশল রপ্ত করে।

3️⃣ ইলেকট্রনিক ও স্যাটেলাইট সাপোর্ট:

• চীন পাকিস্তানকে উপগ্রহ ভিত্তিক নজরদারি, সিগন্যাল বিশ্লেষণ ও জ্যামার প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে।

• এর ফলে ভারতের রাডার ফাঁকি দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান।

• ✅ সফল পাল্টা হামলা: ভারতের অপারেশন সিন্দুর ছিল ২৫ মিনিটের একটি সুনির্দিষ্ট পাল্টা জবাব যেখানে পাকিস্তানের ৯টি সন্ত্রাস ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়।
• ✅ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার: ভারত ড্রোন, স্যাটেলাইট গাইডেড মিসাইল ও সাইবার যুদ্ধ কৌশল একযোগে ব্যবহার করে।
• ✅ চীনা প্রযুক্তির বিরুদ্ধে জয়: ভারত চীনের HQ-9 ও HQ-16 মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমকে পরাস্ত করে, যেগুলো পাকিস্তানকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যর্থ হয়।

NATO ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা উদ্বিগ্ন, চীন তাদের কৌশল “reverse-engineer” করে তৃতীয় বিশ্বের মিত্রদের হাতে তুলে দিচ্ছে।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর ফলে ভবিষ্যতে আকাশযুদ্ধের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়বে।‘অপারেশন সিন্দুর’ কেবল একটি প্রতিরক্ষা জবাব নয়—এটি আধুনিক যুদ্ধনীতি ও প্রযুক্তির চূড়ান্ত বাস্তবায়ন। পাকিস্তান চীনের সহায়তায় পশ্চিমা কৌশল প্রয়োগ করলেও, ভারতের তাত্ক্ষণিক প্রযুক্তিগত দক্ষতা, জিও-স্ট্র্যাটেজিক পরিকল্পনা এবং চমৎকার সেনা সমন্বয় প্রমাণ করেছে—সত্যিকারের শক্তি আসে প্রস্তুতি ও উদ্দেশ্যের স্বচ্ছতা থেকে।

আরও পড়ুন :

চীনের ১০০০ কিমি দূরত্বের হাইপারসোনিক এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ, বিপাকে পড়তে পারে আমেরিকার এফ-২২ র‍্যাপটর ও বি-২১ রেইডার

“একটু ব্যর্থ হলেই বাদ!”! ওয়াশিংটন সুন্দরের বাবার বিস্ফোরক অভিযোগ নির্বাচকদের বিরুদ্ধে