PakistanSpyNetwork
ক্লাউড টিভি রিপোর্ট | ১ জুন ২০২৫: ভারত-পাক সংঘাত এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী সময়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত এক মাসে সাতটি রাজ্য থেকে অন্তত ১৫ জনকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এবং দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেছে।প্রত্যেকের সঙ্গেই পাকিস্তানের কোনও না কোনও যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কেউ বার বার পাকিস্তানে গিয়েছেন, তবে সে সব সফরের উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারেননি। কারও সঙ্গে আবার পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে! গুপ্তচরবৃত্তির এই চক্র ভারতের গোয়েন্দা বিভাগকে ভাবাচ্ছে।
যে সব পেশার মানুষ গ্রেফতার হয়েছেন তাদের মধ্যে যেমন রয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ান, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি কর্মচারী, নিরাপত্তারক্ষী আবার রয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীও । তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের কাছে সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য, সামরিক ঘাঁটির ছবি এবং সেনা চলাচলের তথ্য সরবরাহ করতেন। অনেকে আবার হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মাধ্যমে হানিট্র্যাপের শিকার হয়ে পড়েন।
এনআইএ ৮টি রাজ্যে ১৫টি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতার তপসিয়া, পার্ক সার্কাস, খিদিরপুর এবং আলিপুর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এক হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করা হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন,
রবীন্দ্র বর্মা: মুম্বইয়ের একটি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার। ফেসবুকে হানিট্র্যাপের শিকার হয়ে সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাঠাতেন।
জ্যোতি মলহোত্রা: জনপ্রিয় ইউটিউবার। দিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। হরিয়ানা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
হাসিন ও কাসিম: রাজস্থানের বাসিন্দা। পাকিস্তানে গিয়ে আইএসআই-এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সেনা ঘাঁটির ছবি ও সেনা চলাচলের তথ্য সরবরাহ করতেন।
পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সিআরপিএফ এএসআই গ্রেফতার, জঙ্গি হামলার ছয় দিন আগে পর্যন্ত পহেলগাঁওয়ে
ভারতীয় বাহিনীর পাকিস্তানে বিমানঘাঁটিতে হামলা: ‘অপারেশন সিন্ধুর’ বিস্তারিত বিশ্লেষণ
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে সিআরপিএফ-এর মতো সংস্থার সদস্যদের জড়িয়ে পড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করে। এনআইএ-এর তদন্তে আরও অনেক তথ্য প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।গুপ্তচরবৃত্তির এই চক্র ভারতের গোয়েন্দা বিভাগকে ভাবাচ্ছে। তা কত দূর বিস্তৃত, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারত-পাক সংঘাত এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। সক্রিয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও।
আরও পড়ুন :
NEET PG Exam Rules: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বড় রায়