প্রধানমন্ত্রী মোদি কলকাতা সেনা কনফারেন্স
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ভারতীয় সেনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার কনফারেন্স। কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম এই বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে। তিন দিনব্যাপী এই কনফারেন্স চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং উদ্বোধন করবেন অনুষ্ঠানটি।
কিছুদিন আগেই কলকাতায় এসে মেট্রোর তিনটি নতুন রুটের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার তার সফরের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরে আয়োজিত কনফারেন্সে সেনার ভবিষ্যৎ কৌশল এবং সীমান্ত নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তাই এই সফর শুধু আনুষ্ঠানিক নয়, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও। এর সঙ্গে যোগ দেবেন তিন বাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান। ফলে, দেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সবচেয়ে শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিত্বরা একই মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন।
এমন উচ্চপর্যায়ের কনফারেন্সে সেনার বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করা হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে সীমান্ত এলাকায় সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৌশল নিয়েও গভীর আলোচনা চলবে। পূর্ব লাদাখ থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত পরিস্থিতি বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও নতুন প্রযুক্তি, আধুনিক সরঞ্জাম এবং সাইবার সুরক্ষা নিয়েও এই বৈঠকে বিস্তারিত আলাপ হবে।
সেনা অফিসারের হাতে স্পাইসজেট কর্মী আক্রান্ত : অতিরিক্ত ব্যাগেজ ফি ঘিরে তাণ্ডবে মেরুদণ্ড ভাঙলো
বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সীমান্তে চলমান উত্তেজনা এবং পাকিস্তান সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি কনফারেন্সের অন্যতম আলোচ্য বিষয় হবে। সেনার কৌশলগত পরিকল্পনা কেবল প্রতিরক্ষার সীমায় সীমাবদ্ধ নয়। এটি ভারতের বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানকেও প্রভাবিত করে। তাই এই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত দেশের প্রতিরক্ষা নীতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর শুধু রাজনৈতিক নয়, কূটনৈতিক দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি উদ্বোধনী ভাষণে সেনার প্রতি দেশের আস্থা ও সমর্থনের বার্তা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা খাতে আত্মনির্ভর ভারতের প্রচেষ্টা এবং দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপরও জোর দিতে পারেন।
অন্যদিকে কলকাতা শহরও প্রস্তুত হচ্ছে এই গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনের জন্য। নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। ফোর্ট উইলিয়াম এবং আশপাশের এলাকায় কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অসুবিধা কমাতে প্রশাসন বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েকটি এলাকায় যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, এই কনফারেন্স শুধু সেনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকেই নয়, ভারতের প্রতিরক্ষা নীতি এবং সীমান্ত কৌশল নির্ধারণেও বড় ভূমিকা রাখবে। তাই দেশবাসীর চোখ থাকবে কলকাতার এই বৈঠকের দিকেই।
আরও পড়ুন :