pope francis died
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : বিশ্ব খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে এক যুগান্তকারী নেতার অবসান ঘটলো। ইস্টার সোমবারে, নিজের ভ্যাটিকান বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন পোপ ফ্রান্সিস (pope francis died)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে আজ সকালে এই সংবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।
ভ্যাটিকান ক্যামেরলেনগো কার্ডিনাল কেভিন ফেরেল এক গভীর আবেগঘন বিবৃতিতে বলেন, “আজ সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে রোমের বিশপ ফ্রান্সিস স্বর্গীয় পিতার সান্নিধ্যে ফিরে গেছেন। তাঁর পুরো জীবন ছিল প্রভু ও চার্চের সেবায় উৎসর্গিত।”
পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন ক্যাথলিক চার্চের ২৬৬তম পোপ এবং প্রথম দক্ষিণ আমেরিকান, যিনি পন্টিফিক্সের পদ অলংকৃত করেছিলেন। আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে জন্ম নেওয়া হোর্হে মারিও বেরগোলিও ২০১৩ সালে পোপ হিসেবে নির্বাচিত হন। প্রথাগততার বাইরে গিয়ে এক মানবিক, সংস্কারমুখী এবং প্রগতিশীল নেতৃত্বের জন্য তাঁকে মনে রাখা হবে (pope francis died)।
কার্ডিনাল কেভিন ফেরেল আরও বলেন, “বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য তিনি ছিলেন এক নির্লোভ, মানবিক ও সংস্কারমুখী নেতার প্রতিচ্ছবি। তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন কীভাবে গসপেলের মূল্যবোধকে বিশ্বাস, সাহস এবং সার্বজনীন ভালোবাসা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিকদের প্রতি।”
পোপ ফ্রান্সিস তাঁর papacy-এর সময়কাল জুড়েই নানা বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন। LGBTQ+ সম্প্রদায়ের প্রতি সহনশীলতা, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কড়া বার্তা এবং গির্জার মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আহ্বান ছিল তাঁর প্রধান নীতি। তিনি বারবার সাধারণ মানুষের কাছে ফিরে যেতে বলেছেন, চার্চকে দরিদ্র ও নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন।
অতীতের ময়দান: জ্যোতিষ গুহ থেকে ধীরেন দের সামনে তখন খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হওয়াটাই ছিল বিরাট ব্যাপার
পোপের প্রয়াণে (pope francis died) ইতোমধ্যে ভ্যাটিকান সিটিতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায় শোক প্রকাশ করছে, প্রার্থনা সভা চলছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, এবং সাধারণ মানুষ শোকবার্তা পাঠাচ্ছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন, “পোপ ফ্রান্সিস কেবল একজন ধর্মীয় নেতা নন, তিনি ছিলেন বিশ্বমানবতার একজন সাহসী কণ্ঠ। তাঁর মৃত্যু আমাদের সবার জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায়। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, অনলাইনে সম্প্রচারও করা হবে।
পোপ ফ্রান্সিস এমন এক সময় ধর্মীয় নেতৃত্বে আসেন, যখন চার্চকে ঘিরে নানা বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠছিল। সেই সময় তিনি সাহসের সঙ্গে পরিবর্তনের আহ্বান জানান। চার্চের মধ্যে সাদামাটা জীবনযাপন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান, এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপের মাধ্যমে তিনি নতুন মাত্রা যোগ করেন।
তাঁর জীবনযাত্রা, দৃষ্টিভঙ্গি ও বার্তা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। মৃত্যুর (pope francis died) পরও তাঁর শিক্ষা, মূল্যবোধ ও সাহসিকতা যুগে যুগে অনুপ্রেরণা জোগাবে বিশ্ববাসীকে।
#PopeFrancis #VaticanNews #FarewellHolyFather
আরও পড়ুন :
আরএসএস প্রচারকরা বিয়ে করেন না, সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদি, আদবানি ও বাজপেয়ীও
তার সিনেমা দেখানো হবে কান উৎসবে, কিন্তু তিনিই এক মাস আগে হারিয়ে গেলেন গাজায় ইসরায়েলি হামলায়!