Rahul Priyanka Arrested
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে নির্বাচনী কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নে কংগ্রেসের নেতৃত্বে এক তীব্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পার্লামেন্ট ভবনের সামনের এলাকা। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে এই বিক্ষোভ চলাকালীন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রসহ একাধিক বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের আটক (Rahul Priyanka Arrested) করে দিল্লি পুলিশ। ঘটনাটি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
সোমবার সকাল থেকেই বিরোধী দলের নেতারা নির্বাচনী কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে জমায়েত হন। কংগ্রেসসহ একাধিক বিরোধী দল অভিযোগ তোলে যে বর্তমান সরকার নির্বাচনী কমিশনকে প্রভাবিত করছে এবং ভোটার তালিকায় অনিয়ম ঘটছে। তাদের দাবি—ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হলে একটি ‘পরিষ্কার ও নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা’ জরুরি।
এলাহাবাদ হাই কোর্টে আজ রাহুল গান্ধীর ভারতীয় নাগরিকত্ব বিষয়ে কেন্দ্রের ব্যাখ্যা শুনানি
বিহারে প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা, কোন রাজনৈতিক দলের আপত্তি নেই: জানাল নির্বাচন কমিশন
পুলিশ জানায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং রাস্তার যান চলাচল ব্যাহত না করার স্বার্থে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় রাহুল গান্ধী স্পষ্টভাবে বলেন,
“এই লড়াই রাজনৈতিক নয়। এটি সংবিধান রক্ষার লড়াই। এক মানুষ, এক ভোটের অধিকারের জন্য আমরা দাঁড়িয়েছি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে এবং বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন করার চেষ্টা চলছে।
বিরোধী শিবিরের দাবি, ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম থেকে শুরু করে ভুয়া ভোটারের অন্তর্ভুক্তি পর্যন্ত নানা অনিয়ম ঘটছে। এছাড়াও, অভিযোগ উঠেছে যে বিরোধী দলের ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসের মতে, এগুলি গণতন্ত্রকে দুর্বল করে দেওয়ার সরাসরি প্রচেষ্টা।
অন্যদিকে, সরকার পক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শাসকদলের এক মুখপাত্র বলেন, নির্বাচনী কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা এবং তাদের কার্যকলাপে সরকারের কোনো প্রভাব নেই। বিরোধীরা শুধুমাত্র রাজনৈতিক মাইলেজ পেতেই এই ধরনের নাটকীয় আন্দোলন করছে বলে তাদের দাবি।
নির্বাচনী কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এই বিরোধ শুধু আজকের নয়। গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন রাজ্যে উপনির্বাচন ও সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করে আসছে যে কমিশন শাসকদলের পক্ষে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের মতো বৃহৎ গণতন্ত্রে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি মানুষের আস্থা বজায় রাখতে হলে কমিশনের প্রতি পূর্ণ আস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনাটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কংগ্রেস সমর্থকরা একে “গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ” বলে আখ্যা দিচ্ছেন, অন্যদিকে শাসকদলের সমর্থকেরা বলছেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হতে আরও উস্কে দিতে পারে, বিশেষ করে আসন্ন রাজ্য ও জাতীয় নির্বাচনের আগে।
আরও পড়ুন :
মুক্তির আগেই বাজিমাত রজনীকান্তের ‘কুলি’, বক্স অফিসে রেকর্ড অগ্রিম বিক্রি