Breaking News

Revanth Reddy anti-army remark

কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় নির্বাচন কমিশনে বিজেপির লিখিত অভিযোগ রেভন্থ রেড্ডির বিরুদ্ধে

জুবিলি হিলস উপনির্বাচনকে ঘিরে বড় বিতর্ক। রেভন্থ রেড্ডির সেনা-সম্পর্কিত মন্তব্যে বিজেপির অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জমা।

রেভন্থ রেড্ডির সেনা-বিতর্ক: বিজেপির অভিযোগে কমিশনের দরজায় কড়া

Revanth Reddy anti-army remark

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : তেলেঙ্গানা রাজ্যে জুবিলি হিলস উপনির্বাচন ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কারণ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা রেভন্থ রেড্ডির এক বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপি অভিযোগ করেছে যে রেভন্থ রেড্ডি সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন এবং সেই মন্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধিও লঙ্ঘন করেছে। তাই তাঁরা নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এক নির্বাচনী সভায় রেড্ডি দাবি করেন যে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট অবস্থান নেয়নি এবং সীমান্তনীতি যথাযথ নয়। যদিও তিনি বলেন, তাঁর বক্তব্য সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে নয়, বরং কেন্দ্রের নীতির ওপর সমালোচনা। কিন্তু বিরোধীরা দাবি করছে, সেনাবাহিনীর সম্মানকে আঘাত করা হয়েছে।
এদিকে তিনি আরও অভিযোগ করেন, তেলেঙ্গানায় বিজেপি ও বিআরএস ভোট ভাগাভাগির চুক্তি করেছে। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, বিরোধীরা উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে এবং শুধু স্লোগান ও আবেগ দিয়ে ভোট চাইছে।

বিজেপির অভিযোগ অত্যন্ত স্পষ্ট— মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সেনাবাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে এবং এতে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশন যেন জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং রেভন্থ রেড্ডিকে প্রচারণা থেকে বিরত রাখে।
বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে যে দেশের সশস্ত্র বাহিনী কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পত্তি নয়। ফলে এমন মন্তব্য করলে দেশের প্রতিরক্ষা ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। তাদের দাবি, সেনাবাহিনীকে নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করা একেবারেই অনৈতিক।

তবে রেভন্থ রেড্ডির দাবি সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা কোনো অপরাধ নয় এবং তিনি কখনোই সেনাবাহিনীকে ছোট করে কথা বলেননি।
তিনি দাবি করেন, বিরোধীরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার করছে। আরও বলেন, ‘‘আমরা কাজ করছি উন্নয়ন ও আধুনিক তেলেঙ্গানা তৈরির লক্ষ্যে। তাই কেউ যদি আমাদের বিরুদ্ধে ভুল প্রচার চালায়, সাধারণ মানুষ তা মেনে নেবে না।’’

জুবিলি হিলস আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাশিত। কারণ এই কেন্দ্র বরাবরই রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে প্রত্যেক মন্তব্য ও প্রতিটি অভিযোগ এখন নির্বাচনী কৌশলের অংশ হয়ে উঠেছে।
তাছাড়া, এখানে মুসলিম ভোটার থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত শহুরে ভোটারের সংখ্যা বেশি। তাই যে দলই ছাপ ফেলতে পারবে, তাদের জন্য এটি বড় সাফল্য হবে।

SIR ঘিরে নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন, BLOদের জন্য জারি হল একাধিক নির্দেশ

মোকামায় জন সুরাজের কর্মীর হত্যাকাণ্ডে উত্তাল বিহার, জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিংহ গ্রেফতার


এখন প্রশ্ন— এই বিতর্ক ভোটে কতটা প্রভাব ফেলবে। কারণ সেনাবাহিনী সংক্রান্ত বিতর্ক সাধারণত ভোটারের মনে দ্রুত সাড়া ফেলে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের অনুভূতি প্রবল।

অভিযোগ পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে রেভন্থ রেড্ডি প্রচারে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন। কিন্তু যদি প্রমাণ না পাওয়া যায়, তাহলে এই বিতর্ক রাজনৈতিকভাবেই নিষ্পত্তি হবে।
তবে স্পষ্ট, এই বিতর্ক উপনির্বাচনে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে এবং আগামী কয়েক দিন এই প্রসঙ্গেই রাজনৈতিক তরজা চলবে।

ভোটের ময়দান গরম। সেনাবাহিনী নিয়ে মন্তব্য, অভিযোগ-বিপক্ষ অভিযোগ— সব মিলিয়ে জুবিলি হিলস ভোট যুদ্ধ এখন জাতীয় বিতর্কে পরিণত। একদিকে অভিযোগের ঝড়, অন্যদিকে উন্নয়ন ও জাতীয়তাবাদ— ভোটাররা শেষ পর্যন্ত কোন কথায় ভরসা রাখবে, এখন দেখার অপেক্ষা।

আরও পড়ুন :

লন্ডনে ট্রেনের মধ্যে ছুরি নিয়ে হামলা : ঘটনাস্থলেই গ্রেফতার, সন্ত্রাসবাদ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ

বেঙ্গালুরুতে সিগন্যাল ভেঙে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কা, স্কুটারে থাকা দম্পতির করুণ মৃত্যু

ad

আরও পড়ুন: