rishikesh heli ambulance
রিষিকেশ, ১৭ মে ২০২৫: আজ, শনিবার ১৭ মে ২০২৫ তারিখে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটে উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথে। এমস (AIIMS) রিষিকেশের অত্যাধুনিক হেলি-এম্বুলেন্সটি গুরুতর প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে হঠাৎ করে জরুরি অবতরণ (rishikesh heli ambulance) করতে বাধ্য হয়। তবে স্বস্তির বিষয় হলো, হেলিকপ্টারে থাকা তিনজন আরোহী—একজন চিকিৎসক, এক জন পাইলট এবং এক মেডিকেল সহকারী—সকলেই সম্পূর্ণ নিরাপদ আছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কেদারনাথ ধাম মন্দিরের কাছাকাছি একটি খোলা স্থানে। সূত্র জানায়, হেলিকপ্টারটি একটি গুরুতর অসুস্থ ভক্তকে উদ্ধারের জন্য কেদারনাথে যাচ্ছিল। তখনই হঠাৎ হেলিকপ্টারের পিছনের অংশে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। অত্যন্ত দক্ষতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখিয়ে পাইলট একটি খোলা জায়গা খুঁজে বের করেন এবং সেখানেই নিরাপদ অবতরণ করান হেলিকপ্টারটি।
এই বিষয়ে গারহওয়াল কমিশনার বিনয় শঙ্কর পাণ্ডে জানিয়েছেন, “হেলিকপ্টারটি কেদারনাথ রুটে একটি রেসকিউ মিশনে ছিল। মাঝ আকাশে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিলে পাইলট তৎক্ষণাৎ কৌশলে সেটি জরুরি অবতরণ করান। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।”
ঘটনার পরে উত্তরাখণ্ড পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। জেলা পর্যটন উন্নয়ন আধিকারিক রাহুল চৌবে বলেন, “পাইলট এবং মেডিকেল টিম খুবই দক্ষতার সঙ্গে পুরো পরিস্থিতি সামলেছেন। এটি আরও একবার প্রমাণ করে, হেলি-এম্বুলেন্স সেবা (rishikesh heli ambulance) কতটা জরুরি এবং কার্যকর।”
গুরগাঁওয়ে 10 মিনিটের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করল ব্লিংকিট
হেলিকপ্টারটি AIIMS রিষিকেশের বিশেষ হেলি-এম্বুলেন্স ইউনিটের অংশ, যেটি ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে চালু করা হয়। এটি মূলত দুর্গম পার্বত্য এলাকায় জরুরি চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার জন্য চালু হয়েছে, যেখানে সড়কপথে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
এমস রিষিকেশ কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা ইতোমধ্যেই ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং প্রয়োজনে DGCA (Directorate General of Civil Aviation) ও AAIB (Aircraft Accident Investigation Bureau) কে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রক থেকে একটি প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ দল কেদারনাথে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই হেলিকপ্টারগুলিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে পার্বত্য এলাকার প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও জরুরি চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখা যায়। এই ধরনের জরুরি অবতরণ কৌশল এবং আরোহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় পাইলটের প্রশংসা হচ্ছে সর্বত্র।
স্থানীয় প্রশাসন এবং কেদারনাথ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, দুর্ঘটনার ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং কেদারনাথে যাত্রা বা দর্শনার্থীদের চলাচলে কোনও বিঘ্ন ঘটেনি।
এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো যে, প্রযুক্তি এবং দক্ষ মানবসম্পদ মিলিয়ে আমাদের জরুরি সেবা এখন অনেকটাই উন্নত ও নির্ভরযোগ্য।