Russia Doomsday Submarine
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : রাশিয়া আবারও এক নতুন পারমাণবিক সাবমেরিন জল নামিয়েছে। নাম খাবারোভস্ক। এই সাবমেরিন নাকি সমুদ্রের নিচ থেকে এমন এক অস্ত্র ছুঁড়তে পারে, যেটা পুরো উপকূলকে ধ্বংস করে দিতে পারবে। শুনতে যেন সিনেমা। কিন্তু এটা বাস্তব।
এটাকে বলা হচ্ছে “ডুমসডে সাব”। অর্থাৎ ভয়ঙ্কর দিনের সাবমেরিন। কারণ এর সঙ্গে আছে ভয়ঙ্কর Poseidon nuclear torpedo। রাশিয়া বলছে, এটা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করবে। তবে আমেরিকা আর ন্যাটোর মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলেছে, এই সাবমেরিন শত্রুপক্ষের উপকূল শহর ডুবিয়ে দিতে পারে। তাছাড়া এটা ধরা খুব কঠিন। কারণ এটা সমুদ্রের গভীরে চলতে পারে। আর শব্দ প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে রাডারেও দেখা যায় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অস্ত্র চালানো হলে সমুদ্রে ভয়ঙ্কর সুনামি উঠতে পারে। সেই সুনামি গিয়ে বড় বড় শহর গিলে ফেলতে পারে। তাই ভয়টা স্বাভাবিক। এমনিতেই ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। তার ওপর নতুন পারমাণবিক হুমকি।
আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, কেউ যদি রাশিয়াকে হারাতে চায়, রাশিয়া তাও লড়াই করবে। এখন পুতিন আরও শক্ত বার্তা দিলেন। তবে রাশিয়া বলছে, তারা যুদ্ধ চায় না। বরং নিজেদের রক্ষার জন্যই এই ব্যবস্থা।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এটা শুধু সামরিক শক্তি নয়। এটা রাজনৈতিক বার্তা। আমেরিকা আর ন্যাটোকে সাবধান করা। কারণ পশ্চিম দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে।
তবে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠানের দাবি, এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ। পৃথিবীকে আরও ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো ভুল, যেকোনো ভুল সিদ্ধান্ত মানেই বিপর্যয়।
আমেরিকা অবশ্য এখনো কিছু বলেনি খোলাখুলি। তবে সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রও নজর রেখেছে। তারা চাইলে এর জবাব দিতে পারে। কিন্তু সরাসরি সংঘর্ষ কেউই চায় না।
যদিও সাধারণ মানুষের মাথায় শুধু একটা প্রশ্ন—এতে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ল? বিশেষ করে যখন রাশিয়া পারমাণবিক যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে মাঝে মাঝেই। ইউক্রেন যুদ্ধ কবে শেষ হবে কেউ জানে না। এখন নতুন অস্ত্র এসে ভয়টা আরও বেড়েছে।
ইউরোপে নতুন নিরাপত্তা সংকট : রাশিয়া ব্যবহার করল INF ভঙ্গের অভিযোগে থাকা 9M729 মিসাইল
রাশিয়ার নৌবাহিনী বলছে, এই সাবমেরিন সমুদ্রের তলদেশে শান্তভাবে ঘুরবে। তবে প্রয়োজন হলে এমন হামলা করবে, যাতে শত্রুর অস্তিত্ব মুছে যাবে। ভয়ানক কথা। সমুদ্রের সাইলেন্ট কিলার বলা হচ্ছে এটা।
বিশ্বজুড়ে নানা প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছে নতুন অস্ত্র মানেই শক্তি। কেউ বলছে ভয়ঙ্কর হুমকি। কিন্তু একটা ব্যাপার পরিষ্কার—বিশ্ব আবার অস্ত্র প্রতিযোগিতার দিকে যাচ্ছে। ঠান্ডা যুদ্ধের দিনগুলো ফিরছে কি না, সন্দেহ থাকল।
এই মুহূর্তে ইউক্রেন যুদ্ধ, ন্যাটো বনাম রাশিয়া দ্বন্দ্ব, আর এখন এই পরমাণু সাইলেন্ট সাবমেরিন—সব মিলিয়ে পৃথিবী শান্ত নয়।
সবার মনে একটাই প্রশ্ন—এটা কি শুধু শক্তি দেখানো, না কি ভবিষ্যতে ব্যবহার হবে? কেউ জানে না। তবে আশা একটাই, পৃথিবী যেন যুদ্ধ না দেখে। কারণ পরমাণু যুদ্ধ মানে সব শেষ।
আরও পড়ুন :