Secret US Bunkers
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : প্রাক্তন মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা ক্যাথরিন অস্টিন ফিটসের সাম্প্রতিক এক দাবিতে বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মার্কিন সরকার ২১ লক্ষ কোটি ডলার (প্রায় ২১ ট্রিলিয়ন ডলার) ব্যয়ে ১৭০টি গোপন ভূগর্ভস্থ ও সমুদ্রতল বাঙ্কার নির্মাণ করেছে। এই বাঙ্কারগুলো মূলত ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যাতে তারা কোনো বৈশ্বিক বিপর্যয়ের সময় আশ্রয় নিতে পারেন।
ক্যাথরিন অস্টিন ফিটস, যিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের প্রশাসনে হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সহকারী সচিব ছিলেন, তিনি দাবি করেন যে এই বাঙ্কারগুলো একটি গোপন ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেমের মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত। এই সিস্টেমটি অজানা শক্তি প্রযুক্তি দ্বারা চালিত। তিনি আরও বলেন, এই বাঙ্কারগুলো শুধুমাত্র ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জন্য তৈরি, সাধারণ মানুষের জন্য নয়।
ফিটসের দাবি অনুযায়ী, এই বিশাল অর্থ ব্যয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন ছিল না। তিনি ২০১৭ সালে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ মার্ক স্কিডমোরের একটি গবেষণার উল্লেখ করেন, যেখানে প্রতিরক্ষা বিভাগ ও হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট বিভাগের মধ্যে ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে “অননুমোদিত ব্যয়” চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই গবেষণার ভিত্তিতে তিনি অনুমান করেন যে এই অর্থ গোপন বাঙ্কার নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে।
Adopted Daughter জন্মের পরিচয় খুঁজে দেখেন—ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টেই ছিলেন বাবা
ফিটস আরও দাবি করেন যে এই বাঙ্কারগুলো শুধুমাত্র আশ্রয়ের জন্য নয়, বরং গোপন সামরিক অভিযান ও “সিক্রেট স্পেস প্রোগ্রাম” পরিচালনার জন্যও ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, এই বাঙ্কারগুলোতে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যা সাধারণ মানুষের অজানা।
যদিও ফিটসের এই দাবিগুলো চাঞ্চল্যকর, তবে তিনি কোনো দৃঢ় প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। তার এই দাবিগুলো অনেক বিশেষজ্ঞ ও সমালোচকের কাছে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। তবে ইতিহাসে যেমন চেয়েন্নে মাউন্টেন কমপ্লেক্স ও গ্রিনব্রায়ার বাঙ্কারের মতো গোপন সামরিক স্থাপনার উদাহরণ রয়েছে, তেমনি এই দাবিগুলোও সম্পূর্ণ অমূলক বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন :
আইপিএল ফাইনালের আগে বিস্ফোরণে চাঞ্চল্য! গুজরাটে মোদী স্টেডিয়ামের গেটের বাইরে আতঙ্ক
রাজ্যে প্রথম করোনা-মৃত্যুতে চাঞ্চল্য, বাড়ছে সংক্রমণ — সতর্ক রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর