ChinaBangladesh MarriageScam
২৬ মে ২০২৫, ঢাকা : জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমাতে দীর্ঘ দিন এক সন্তান নীতি নিয়ে চলছিল বেজিং। কিন্তু দেশের জনসংখ্যার গড় বয়স ক্রমশ বাড়তে থাকায় এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে চিনের কমিউনিস্ট সরকার। একের বেশি সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়ার পর চিনে জন্মহার খানিক বাড়লেও নারী-পুরুষ অনুপাতের যে ভারসাম্য, তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সে দেশের বহু পুরুষ বিবাহের জন্য অন্য দেশ থেকে হবু স্ত্রীকে আনার পরিকল্পনা করছেন। বহু সময়েই টাকার বিনিময়ে কোনও তৃতীয় পক্ষ এই সম্ভাব্য স্ত্রী খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করছে (ChinaBangladesh MarriageScam)। আর এর আড়ালে চলছে মানবপাচার।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বহু ‘বিবাহযোগ্য’ নারীকে চিনে পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।সম্প্রতি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেলি স্টার’ তাদের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, “বাংলাদেশের মহিলাদের চিনে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
চীনা নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে বিয়ে সংক্রান্ত প্রতারণা ও মানবপাচারের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে ঢাকার চীনা দূতাবাস। সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানিয়েছে, “বিদেশি স্ত্রী কেনার” ধারণা থেকে বিরত থাকতে এবং অনলাইন বা বাণিজ্যিক ম্যাট্রিমনিয়াল সংস্থার মাধ্যমে বিয়ে করার আগে সতর্ক হতে।
চীনা দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে:
বাণিজ্যিক ম্যাট্রিমনিয়াল সংস্থা বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিয়ে করার আগে সতর্ক থাকুন।
“বিদেশি স্ত্রী কেনা” ধারণা থেকে বিরত থাকুন।
বাংলাদেশে বিয়ে করার আগে আইনি প্রক্রিয়া ও সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
মানবপাচার বা প্রতারণার শিকার হলে চীনের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন।
চীনে দীর্ঘদিনের এক সন্তান নীতির ফলে নারী-পুরুষ অনুপাতের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। এর ফলে অনেক পুরুষ বিয়ের জন্য বিদেশি স্ত্রী খুঁজছেন। এই পরিস্থিতিতে কিছু অসাধু সংস্থা ও ব্যক্তি বাংলাদেশি নারীদের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চীনে নিয়ে গিয়ে মানবপাচার করছে।
বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেলের ভারতীয় উত্তর-পূর্ব দখলের হুমকি: কূটনৈতিক উত্তেজনার নতুন মাত্রা
নাহিদ ইসলামের উস্কানিমূলক পোস্টে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক
চীনা আইন অনুযায়ী:
কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি বাণিজ্যিকভাবে আন্তর্জাতিক বিয়ে সংক্রান্ত সেবা প্রদান করতে পারবে না।
এই ধরনের কার্যক্রমে জড়িত থাকলে মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী:
মানবপাচারের জন্য সর্বনিম্ন ৭ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড এবং ন্যূনতম ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।
সহযোগিতা বা পরিকল্পনায় জড়িতদের ৩ থেকে ৭ বছর কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে।
চীনা নাগরিকদের উদ্দেশ্যে দূতাবাসের পরামর্শ:
বৈধ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিয়ে করুন।
অনলাইন বা অজানা সংস্থার মাধ্যমে বিয়ে করার আগে সতর্ক থাকুন।
প্রতারণার শিকার হলে অবিলম্বে চীনের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে জানান।
চীনে প্রায় ৩০ মিলিয়ন পুরুষ বিয়ের জন্য সঙ্গিনী খুঁজে পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশি নারীদের চীনে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে গিয়ে মানবপাচারের অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন :
আইপিএল মাঠের বাইরেও কোটির খেলা! ধারাভাষ্যকারদের আয় শুনলে চোখ কপালে উঠবে
কান উৎসব থেকে চমক! আবারও মা হতে চলেছেন আলিয়া ভাট? জল্পনায় তোলপাড় নেটদুনিয়া