PrajwalRevanna
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হয়েছেন কর্ণাটকের জনতা দল নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্বল রেভান্ন (PrajwalRevanna)। এক সময় সংসদে বসা এই প্রভাবশালী রাজনীতিকের জীবন এখন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। এখন তিনি মাইসুরু জেলে বন্দি, সাধারণ এক কয়েদি। যেখানে তার দৈনিক রোজগার মাত্র ৫৪০ টাকা!
প্রজ্বল রেভান্ন, প্রাক্তন সাংসদ, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি এবং প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম। কিন্তু যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় এবং সেই মামলাতেই এখন তিনি বন্দি। তার জীবনযাত্রা, আয় ও প্রভাব—সবকিছুই রাতারাতি বদলে গিয়েছে।
জেল সূত্রে খবর, রেভান্ন এখন মাইসুরুর কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদি নম্বর ৮৭৭৩। জেলে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয় তাকে। মূলত সেলাই ও কাপড় কাটা-ছেঁড়ার মতো কাজ দেওয়া হয়। এই কাজের জন্য তিনি প্রতিদিন পান ৫৪ টাকা। সেই হিসেবে তার মাসিক আয় ৫৪০ টাকা।
ট্রাম্প কি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে পারেন? নেতানিয়াহুর মনোনয়ন ঘিরে বিতর্ক ও বাস্তবতা
লাঞ্চ ও ডিনারে রুটি, রাগি বল, সাম্বার, হোয়াইট রাইস, বাটারমিল্ক দেওয়া হয়। প্রতি মঙ্গলবার করে ডিম দেওয়া হয়। মাসের প্রথম ও তৃতীয় শুক্রবার করে মাটন দেওয়া হয়। প্রতি মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার চিকেন পরিবেশন করা হয়।
বাকি কয়েদিদের মতো প্রজ্বল সপ্তাহে দুইবারই ফোন কল করতে পারবেন। তাও ১০ মিনিটের জন্য। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, সপ্তাহে একবারই তাঁর পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
এক সময় তিনি নিজের গাড়িতে করে যাতায়াত করতেন, আধুনিক বাড়িতে থাকতেন, এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। মাসে আয় করতেন প্রায় ১ লক্ষ টাকা। কিন্তু এখন কারাগারের নির্দিষ্ট সময়সূচি ও নিয়ম মেনেই চলছে তার জীবন।
জেলের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে একই নিয়মে চলছে তার দৈনন্দিন জীবন। খাওয়া, বিশ্রাম, ও কাজ—সবই নির্দিষ্ট সময় মতো। এছাড়া তার সেলফোন ব্যবহারের অনুমতি নেই এবং বাইরের জগতের সঙ্গে সংযোগও সীমিত।
এদিকে এই ঘটনা কর্ণাটক রাজনীতিতেও বড়সড় আলোড়ন তুলেছে। জনতা দল (ধ) রেভান্নকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগে এখনও বিচার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন :
“এটি সেই ছবি নয়, যা আমি ১২ বছর আগে করেছি”— রাঞ্জনা-র AI সংস্করণ নিয়ে ধনুশের তীব্র প্রতিক্রিয়া