শ্রেয়া ঘোষাল জাতীয় সঙ্গীত মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : আসামের গুয়াহাটিতে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ। তবে উদ্বোধনী মঞ্চে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠলেন ভারতীয় সঙ্গীত জগতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। তিনি জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করলেন একেবারে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সাজে। শারদীয় আবহে লাল-সাদা শাড়ি এবং বাঙালি নারীর ঐতিহ্যবাহী অলঙ্কারে সেজে শ্রেয়ার কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত শুনে আবেগে ভেসে গেল গোটা স্টেডিয়াম।
জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় গোটা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এক ভিন্ন আবহ। ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে উপস্থিত অতিথি— সকলেই দাঁড়িয়ে সন্মান জানালেন। শ্রেয়ার সুমধুর কণ্ঠে উঠে আসা জাতীয় সঙ্গীতের প্রতিটি সুর যেন দর্শকদের হৃদয় স্পর্শ করল। উদ্বোধনের সেই মুহূর্ত ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
মহিলা বিশ্বকাপে ছেলেদের থেকেও বেশি প্রাইজমানি ঘোষণা করল আইসিসি
এই আয়োজনে বিশেষ নজর কেড়েছে শ্রেয়ার সাজ। দুর্গাপুজোর আবহে তিনি যেন ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। লাল-সাদা শাড়িতে সেজে বিশ্বমঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে তিনি একদিকে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে তুলে ধরেছেন, অন্যদিকে বাংলার ঐতিহ্যকেও বিশেষভাবে সামনে এনেছেন। অনেকে মন্তব্য করেছেন, “গোটা বিশ্ব দেখল শারদীয় বাঙালি নারীর গর্ব।”
জাতীয় সঙ্গীত শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে প্রশংসার ঢেউ। ক্রিকেট মহল থেকে শুরু করে সঙ্গীতপ্রেমীরা প্রশংসা করেছেন শ্রেয়ার অসাধারণ পরিবেশনার। অনেকেই বলেছেন, মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনীতে শ্রেয়ার পরিবেশনা ছিল একেবারে ম্যাজিকাল। কেউ কেউ একে ইতিহাসের অন্যতম সেরা জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শ্রেয়ার এই পরিবেশনা শুধু ক্রিকেট বিশ্বকাপের সূচনা নয়, ভারতের সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে গর্বের সঙ্গে উপস্থাপনের এক বিরল দৃষ্টান্ত। বাংলার ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং জাতীয় সঙ্গীতের আবেগঘন পরিবেশনা একসঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন :
জগদ্দলে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং-এর বাড়ির সামনে বোমা ও গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা
ব্রিটিশ নয়, ভারতীয় সেনারাই হাইফা মুক্ত করেছিলেন, ইজরায়েলের শিক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত