SouravGanguly CABPresident
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেট প্রশাসনের ময়দানে ফের একবার প্রত্যাবর্তনের পথে ‘মহারাজ’। বাংলার গর্ব, প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, তিনি আবারও সিএবি (ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল)-এর প্রেসিডেন্ট পদে (SouravGanguly CABPresident) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মঙ্গলবার, সিএবির এপেক্স কাউন্সিল বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়ে দেন, “আমি এবার সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াচ্ছি।”
এই ঘোষণায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য ক্রিকেট মহলে। কারণ, এর আগে ২০২২ সালেও ঠিক এমনই ঘোষণা দিয়েছিলেন সৌরভ, কিন্তু শেষপর্যন্ত নিজের ভাই স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কেই সেই পদে বসতে দিয়েছিলেন। এবার তাই প্রশ্ন উঠছে, সৌরভ কি সত্যিই লড়বেন? নাকি আবারও কোনও কৌশলগত বা পারিবারিক সিদ্ধান্তে সরে যাবেন?
সৌরভ গাঙ্গুলীর বায়োপিকের শুটিং পিছোল, ২০২৬-এ শুরু শুটিং প্রস্তুতি
২০১৫ সালে প্রথম সিএবি প্রেসিডেন্ট হন সৌরভ। জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পর তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেখান থেকে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত ওঠার পর তাঁকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বড় পরিকল্পনা ছিল বহু মহলে। তবে বিসিসিআই-র মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁর নতুন ভূমিকাকে ঘিরে একাধিক জল্পনা তৈরি হয়। ২০২২ সালে CAB-তে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষমেশ স্নেহাশিসই হন প্রেসিডেন্ট।
সিএবি সূত্রে খবর, এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে থেকেই বেশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে তিনি CAB-তে ফিরতে চান। তার একাধিক ঘনিষ্ঠমহল মনে করছে, CAB-তে থেকে আবারও বিসিসিআই বা রাজ্য ক্রিকেট প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি।
যদিও এখনও কোনও বিরোধী প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাব্য রূপরেখা সামনে আসেনি, তবে সৌরভের ঘোষণার পর অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন—এই পদে সত্যিকারের লড়াই হতে পারে কি না। বিশেষ করে সিএবি-র মধ্যেই সৌরভ বনাম স্নেহাশিস দ্বন্দ্ব আবার কি সামনে আসবে, এই প্রশ্নও উঠছে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে বরাবরই রাজনৈতিক জল্পনা চলে এসেছে। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ, বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ—এসব নিয়ে বহুবার আলোচনা হয়েছে। CAB-তে তাঁর প্রত্যাবর্তন কোনও বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ কি না, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।
সিএবির বর্তমান এবং প্রাক্তন সদস্যদের অনেকেই সৌরভের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, সৌরভ ফিরলে বাংলা ক্রিকেটে গতি আসবে, প্রশাসন আরও পেশাদার হবে এবং তরুণ প্রতিভাদের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়। আর যদি দেন, তবে তাঁর জয় প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন :