StXaviersToEurope
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ভারতীয় স্কুল ফুটবলের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুল এবার ইউরোপের অন্যতম সেরা কিশোর ফুটবল প্রতিযোগিতা MADCUP 2025-এ অংশ নিতে (StXaviersToEurope) চলেছে। জুন মাসে স্পেনের মাঠে বিশ্বের কিছু নামজাদা ক্লাবের যুব দলের বিরুদ্ধে লড়বে কলকাতার ছেলেরা।
২০২৫ সালের ২১ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। সেন্ট জেভিয়ার্সের দল খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ সিএফ, অ্যাটলেটিকো ডি মাদ্রিদ, জুভেন্টাস এফসি, সিএ রিভার প্লেট, এবং ভ্যালেন্সিয়া সিএফ-এর মতো বিখ্যাত ক্লাবের ইয়ুথ টিমের বিরুদ্ধে। খেলার ভেন্যুগুলি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ—অ্যাটলেটিকো দে মাদ্রিদের স্পোর্টস সেন্টার এবং সিউদাদ দেল ফুটবল দে লাস রোজাস।
একটি স্কুল টিমের কাছে এই টুর্নামেন্ট শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বিশ্বমঞ্চে আত্মপ্রকাশের সুযোগ। ভারতীয় ফুটবল সংস্কৃতি ও প্রতিভা যে কতটা এগিয়েছে, তার প্রমাণ রাখতে মুখিয়ে আছে জেভিয়ারিয়ানরা।
চীনে স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শিক্ষা
বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চলেছে রাজ্য সরকার : শিক্ষামন্ত্রী – BRATYA BASU
স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক ফারিনো টোরকাটো জানিয়েছেন,
“আমরা এখানে কোনও কাপ জেতার স্বপ্নে আসিনি। আমরা এখানে এসেছি নিজেদের, স্কুলের, শহরের এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে। বিশ্বকে দেখাতে চাই যে ভারতেও ফুটবল বাঁচে এবং বিকশিত হয়।”
টোরকাটোর কথায় ফুটে উঠেছে আত্মবিশ্বাস—আত্মম্ভরিতায় নয়, বরং সম্মান আর দায়িত্ববোধে ভরা। কারণ শুধু খেলাই নয়, তারা ফুটবলকে একটা সংস্কৃতি ও ভাবনার মঞ্চ হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে।
MADCUP ইউরোপের অন্যতম জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী যুব ফুটবল টুর্নামেন্ট। পাঁচ বছর আগে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে প্রতি বছর বিশ্বের ৩৫টির বেশি দেশের ১০০০-রও বেশি দল অংশ নেয়। এটিকে ‘Youth Champions League’ বললেও ভুল হবে না। প্রতিটি বিভাগে নির্দিষ্ট বয়সসীমায় খেলা হয়। জেভিয়ার্স দল অংশ নেবে U-16 বিভাগে।
রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, অ্যাটলেটিকো, রিভার প্লেট, ভ্যালেন্সিয়া—এরা শুধু ক্লাব নয়, ফুটবল ঐতিহ্যের প্রাচীন স্তম্ভ। সেই স্তম্ভের সামনে কলকাতার স্কুল টিমের জয় বা হার নয়, বড় কথা হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মানসিকতা।
সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল বরাবরই পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার চর্চায় অগ্রণী। এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ তাদের কাছে ক্রীড়াশিক্ষা ও বিশ্বজ্ঞান-এর এক বিরল অভিজ্ঞতা হবে। একদিকে পেশাদার ক্লাবের পরিবেশ, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার চাপ—সবকিছু এক সঙ্গে শেখাবে নেতৃত্ব, দলগত সংহতি ও মানসিক দৃঢ়তা।
ছাত্রদের শারীরিক সক্ষমতা, ফুটবল স্কিল ও ট্যাকটিক্স নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। স্পেনে যাওয়ার আগে একাধিক প্র্যাকটিস ম্যাচও রাখা হয়েছে, যাতে তারা ইউরোপিয়ান ছন্দ ও পেস বুঝতে পারে। দলের ম্যানেজার এবং কোচিং স্টাফ ইতিমধ্যেই স্প্যানিশ আবহ ও কন্ডিশন বুঝে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,
“এই ধরনের সুযোগ থেকে ভবিষ্যতের আইএসএল বা জাতীয় দলের ফুটবলার উঠে আসতে পারে। শুধু কলকাতার নয়, গোটা দেশের ফুটবলের জন্য এটা গর্বের।”
আরও পড়ুন :
কাকদ্বীপে উপকূলে ধরা পড়ল ২৫ টন ইলিশ – মৎস্যজীবীদের হাওয়ায় খুশির ঢেউ
“যুদ্ধবিরতি তখনই সম্ভব যখন আমরা আমাদের প্রতিশোধ শেষ করেছি” : ইরান