SpeedKills DiogoJota
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : ৩ জুলাই স্পেনের জামোরা প্রদেশে ঘটে যায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, যার বলি হন পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়োগো জোটা ও তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভা। দীর্ঘদিনের সঙ্গী রুতে কারদোসোর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাত্র দশদিনের মধ্যেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৮ বছর বয়সি এই লিভারপুল ফরোয়ার্ডের (SpeedKills DiogoJota)।
দুর্ঘটনার দিন দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় গাড়ির একটি চাকা ফেটে যায়। গাড়িটি তখন ওভারটেক করছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তা ধাক্কা খায় পাশের কাঠামোয় এবং মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ নিয়ে অনেক জল্পনা ছিল। মৃত্যুর পর নানা গুজব ঘুরতে থাকে সামাজিক মাধ্যমে। অবশেষে স্পেনের সিভিল গার্ড মঙ্গলবার এক অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে জানায়, “গাড়ির চাকার চিহ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গাড়িটি সীমিত গতির চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত চলছিল। গাড়ি চালাচ্ছিলেন দিয়োগো জোটা নিজেই।”
পুত্রের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ির পথে ফেরার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পিতা
তদন্তে এমনটাও উঠে এসেছে যে, চাকা ফেটে যাওয়ার মুহূর্তে গাড়ির গতিবেগ ছিল ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টারও বেশি। অতিরিক্ত গতি এবং ওভারটেকের সময় চাকা ফাটায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছনোর আগেই দুজনেরই মৃত্যু হয়।
দিয়োগো জোটা একজন নিবেদিত ফুটবলার ছিলেন। উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স থেকে উঠে এসে লিভারপুলে নিজের শক্ত অবস্থান গড়েন তিনি। পর্তুগাল জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। জোটার তিন সন্তান রয়েছে, যাদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত প্রায়শই শেয়ার করতেন তিনি।
তাঁর আকস্মিক প্রস্থান শুধু লিভারপুল নয়, সমগ্র ফুটবল বিশ্বকেই শোকাহত করেছে। লিভারপুল ক্লাব এক শোকবার্তায় লিখেছে, “তোমার অনুপস্থিতি অপূরণীয়। বিদায়, লিভারপুলের লাল হৃদয়।”
আরও পড়ুন :
আকাশদীপ, আকাশদীপ…! ‘দ্য বিটলস’-এর বিখ্যাত গান ‘Let It Be’-এর সুরে গেয়ে উঠলেন ইংরেজ সমর্থক
দল বদলের গুঞ্জন থামিয়ে দিলেন বিষ্ণু, দু’বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে থাকছেন তরুণ তারকা