Breaking News

PrateekJoshi AirIndiaCrash

স্বপ্নভঙ্গ: লন্ডনে পরিবার নিয়ে নতুন জীবনের পথে পা রাখতেই মাঝ আকাশে নিভে গেল প্রতীক জোশীর পরিবার

ছয় বছরের প্রতীক্ষা শেষে লন্ডনে পরিবার নিয়ে নতুন জীবন শুরু করার স্বপ্ন দেখেছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্রতীক জোশী। আহমেদাবাদ থেকে রওনা দেওয়ার মুহূর্তে ছিল হাসিমুখ, উচ্ছ্বাসে ভরা ছবি। অথচ সেই সেলফিই আজ মৃত্যুর স্মারক।

PrateekJoshi AirIndiaCrash: A Family's Tragic Tale %%page%% %%sep%% %%sitename%%

PrateekJoshi AirIndiaCrash

ক্লাউড টিভি ডেস্ক | ১৩ জুন ২০২৫ : ছয় বছর ধরে দিন গুনছিলেন। লন্ডনে স্থায়ী হবার সবরকম চেষ্টা, পরিশ্রম আর ধৈর্যের শেষে প্রতীক জোশী ভেবেছিলেন এবার বুঝি জীবন তাঁকে তার প্রাপ্য আনন্দ দেবে। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে নতুন দেশে, নতুন শহরে, একসাথে থাকার স্বপ্ন ছিল তাঁর। কিন্তু সব স্বপ্নের মৃত্যু (PrateekJoshi AirIndiaCrash) ঘটল মাঝ আকাশেই।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে, আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI-171-এ উঠেছিলেন প্রতীক, তাঁর স্ত্রী ডা. কোমি জোশী এবং তাঁদের তিন শিশু সন্তান—বয়স যথাক্রমে ৩, ৭ ও ১০। যাত্রার ঠিক আগে পরিবারটি একটি হাস্যোজ্জ্বল সেলফি পাঠায় আত্মীয়স্বজনদের। সেটাই আজ মৃত্যুর আগের শেষ ছবি।

মায়ের নামে নতুন পরিচয়ে প্রতীক! আনুষ্ঠানিকভাবে হলেন প্রতীক স্মিতা পাটিল

রামনবমীতে ভগবান শ্রী রামের আশীর্বাদ পেতে আপনি কি করবেন বা করবেন না

ডা. কোমি জোশী ছিলেন ভারতের এক স্বনামধন্য সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক। মাত্র দুই দিন আগেই পদত্যাগ করেছিলেন তিনি, যাতে পরিবারের সঙ্গে দ্রুত লন্ডনে গিয়ে সন্তানদের জন্য নতুন শুরু করা যায়।
তাঁরা তিন সন্তানও ছিল আনন্দে আত্মহারা। নতুন স্কুল, নতুন শহর আর বাবার সঙ্গে প্রতিদিন দেখা করার সুযোগ—সবকিছুর জন্যই ছিল প্রবল উচ্ছ্বাস।

প্রতীকের বাবা ক্লান্ত, ভাঙা গলায় বলেন—

“ছেলে সব সময় বলত, একসঙ্গে থাকবো, শান্তিতে একটা জীবন গড়ব। এত কষ্ট করে সব ঠিক করেছিল। কে জানত, ওর শেষ কথা হবে ‘আমরা পৌঁছেই ভিডিও কল করব।’”

প্রতীকের প্রতিবেশী জানান,

“ও ছিল খুব শান্ত, ভদ্র, রোজ সকালে মা-বাবাকে নমস্কার করত, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পৌঁছে দিত। একবারও চিৎকার শুনিনি।”

সহকর্মীরা বলছেন, প্রতীক একজন দায়িত্ববান, পরিশ্রমী এবং পরিবারকেন্দ্রিক মানুষ ছিলেন।

“ওর ডেস্ক এখনও তেমনই পড়ে আছে, কফি মগ, ছেলের আঁকা ছবি—সবই আছে। শুধু ও নেই,” বললেন এক সহকর্মী।

এটা শুধু এক পরিবারের ধ্বংস নয়—এটা একটা স্বপ্নের মৃত্যু, একটা শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যাওয়া জীবনের করুণ অধ্যায়। আহমেদাবাদের সেই বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রীদের মধ্যে প্রতীকের পরিবার ছিল সম্ভবত সবচেয়ে “সম্পূর্ণ”—দুই প্রজন্ম একসাথে ছিল সেই যাত্রায়। প্রতীক, কোমি এবং তাঁদের তিন শিশুর অকালপ্রয়াণ শুধু তাঁদের পরিবারের নয়, গোটা দেশের এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমাদের শোক এবং সহানুভূতি রইল তাঁদের আত্মীয়-পরিজনদের প্রতি।

আরও পড়ুন :

প্রাক্তন গুজরাট মুখ্যমন্ত্রীর নাম এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনাজনিত ফ্লাইটে: পরিচয় এবং অনুসন্ধান শুরু

“আমি বুঝতে পারিনি কীভাবে বেঁচে গেলাম!” — আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া বিশ্বাস কুমার

ad

আরও পড়ুন: