TransAthletes SportsVisaBan
ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ওয়াশিংটন: ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদদের জন্য বড় ধাক্কা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (USCIS) ঘোষণা করেছে যে তারা নারী ক্রীড়ায় অংশ নিতে ইচ্ছুক ট্রান্সজেন্ডার মহিলাদের ভিসা দেওয়ার নীতি আপডেট করেছে। নতুন নীতির আওতায়, এখন থেকে ট্রান্সজেন্ডার নারীরা ক্রীড়া ভিসার (TransAthletes SportsVisaBan) জন্য আবেদন করতে গেলেই পড়বেন একাধিক বিধিনিষেধের মুখে।
এই সিদ্ধান্ত স্পষ্টভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বৃহত্তর নীতিরই অংশ। ট্রাম্প এর আগে ট্রান্সজেন্ডারদের অ্যাথলেটিকস বা মহিলা ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ নিয়ন্ত্রণের পক্ষে একাধিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আগে থেকেই কিছু রাজ্যে এই ধরনের সীমাবদ্ধতা কার্যকর হলেও এবার ফেডারেল স্তরে অভিবাসন নীতিতেও তার ছাপ পড়ল।
অলিম্পিক কমিটিও পথ অনুসরণ করেছে
গত মাসেই ইউএস অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটি তাদের নিজস্ব নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে, যা ট্রাম্পের চলতি বছরের শুরুতে স্বাক্ষরিত এক নির্বাহী আদেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেই আদেশে বলা হয়েছিল, “পুরুষদের নারী ক্রীড়া থেকে দূরে রাখতে হবে”, যার আওতায় ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অংশগ্রহণ সীমিত করা হয়েছে।
এই নির্দেশিকার সমর্থকদের মতে, এটি ক্রীড়ার ন্যায্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে। তাদের যুক্তি, জেনেটিকভাবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের শরীরিক কাঠামো দুর্বল, তাই ট্রান্সজেন্ডার মহিলাদের অংশগ্রহণ প্রতিযোগিতায় বৈষম্য সৃষ্টি করে। তবে সমালোচকরা একে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন। তাদের বক্তব্য, একটি ছোট সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অধিকার কেটে নেওয়া হচ্ছে ভোট ব্যাংকের রাজনীতির স্বার্থে।
ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নীতির ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতা করতে আসা বহু ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদ আমেরিকায় প্রবেশাধিকার হারাতে পারেন। অনেকে যাঁরা ইউএসে প্রশিক্ষণ নিতে চান বা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে আসেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
এদিকে LGBTQ+ অ্যাক্টিভিস্টদের বিভিন্ন সংগঠন এরইমধ্যে এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছে এবং আইনি পদক্ষেপের কথাও ভাবা হচ্ছে।
ট্রাম্পের রাজনৈতিক বার্তা?
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২4 সালের মার্কিন নির্বাচনের আগে এই ধরনের নীতি গ্রহণ করে ট্রাম্প তাঁর রক্ষণশীল ভোটব্যাংককে খুশি রাখার চেষ্টায় আছেন। নারী ক্রীড়ায় ট্রান্সজেন্ডারদের নিষিদ্ধ করার ইস্যুটি মার্কিন দক্ষিণপন্থী রাজনীতির অন্যতম আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক সময়ে।
আরও পড়ুন :
সাধু বেশে ছিনতাই! কুলটিতে নাটকীয় অভিযান, ধৃত ৪ উত্তর ভারতীয়
সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে আবারও লড়াইয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রশ্ন উঠছে এবারও সরে যাবেন কি?