Breaking News

TransParenthood Zahhad Ziya

কেরালা হাই কোর্টের ঐতিহাসিক রায়: জন্ম শংসাপত্রে ‘মা’ বা ‘বাবা’ নয়, ‘অভিভাবক’ হিসেবে স্বীকৃতি রূপান্তরকামী দম্পতিকে

সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা: রায়টি শুধু দম্পতির পরিচয় নয়, তাঁদের সন্তানের আইনি স্বীকৃতি ও সামাজিক সম্মান রক্ষায়ও সহায়ক হবে

TransParenthood Zahhad Ziya Legal Victory Explained %%page%% %%sep%% %%sitename%%

TransParenthood Zahhad Ziya

ক্লাউড টিভি ডেস্ক  | জুন ২০২৫ : কেরালার কোঝিকোড়ে বসবাসকারী রূপান্তরকামী দম্পতি জাহাদ ও জিয়া পাভাল—যাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করে আসছেন—অবশেষে তাঁদের আইনি লড়াইয়ের জয় হল। কেরালা হাই কোর্ট তাঁদের পক্ষেই রায় দিয়ে বলেছে, সন্তানের জন্ম শংসাপত্রে তাঁরা “মা” বা “বাবা” হিসেবে নয়, লিঙ্গ-নিরপেক্ষভাবে “Parent” অর্থাৎ “অভিভাবক” হিসেবে নথিভুক্ত হতে পারবেন (TransParenthood Zahhad Ziya)।

এই রায় শুধু এই এক দম্পতির জয় নয়, বরং গোটা রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক, যা ভারতের সামাজিক ও আইনিক পরিসরে পরিবর্তনের বার্তা দেয়।

ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকার: ১০,০০০ কোটির দায়ভার ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

দীর্ঘ সময় স্থিতিশীল থাকার পর আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস, মিলেছে নতুন ৪ সাব-ভেরিয়েন্ট!

জাহাদ, একজন রূপান্তরকামী পুরুষ, এবং জিয়া পাভাল, একজন রূপান্তরকামী নারী, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি সন্তানের জন্ম দেন। এটি ছিল ভারতের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা যেখানে একটি রূপান্তরকামী পুরুষ গর্ভধারণ করে সন্তানের জন্ম দেন। এই দম্পতির জীবন ও সম্পর্ক ইতোমধ্যেই বহু মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছে। তবে সন্তানের জন্মের পরেই শুরু হয় আরেক আইনি লড়াই।

কোঝিকোড় পুরসভা তাঁদের সন্তানের জন্ম শংসাপত্রে জাহাদকে “Mother” এবং জিয়াকে “Father” হিসেবে নথিভুক্ত করে। দম্পতির দাবি, এটি তাঁদের লিঙ্গ পরিচয়ের পরিপন্থী এবং মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন, এবং আদালত তাঁদের বক্তব্যকেই সমর্থন করে রায় দেয়।

কেরালা হাই কোর্টের বিচারপতি জিয়াদ রহমান এএ-এর বেঞ্চ বলেন,

“প্রত্যেক মানুষকেই তাঁর স্ব-পরিচয়ে মর্যাদা সহকারে বাঁচার অধিকার দিতে হবে। সন্তানের জন্ম শংসাপত্রে লিঙ্গনিরপেক্ষ পরিচয় ব্যবহার না করলে সংবিধানের ১৪ এবং ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন হবে।”

বিচারপতি জানান, রূপান্তরকামীদের আইনি স্বীকৃতি রক্ষা করতে গেলে প্রশাসনিক ও আইনি দলিলেও সেই স্বীকৃতির প্রতিফলন ঘটতে হবে। সেই হিসেবে “Parent” শব্দের ব্যবহার সঠিক ও সংবিধান সম্মত।

আদালতের রায়ের ভিত্তিতে কোঝিকোড় পুরসভাকে সংশোধিত জন্ম শংসাপত্র ইস্যু করার নির্দেশ দেওয়া হয়, যেখানে “Mother” বা “Father” নয়, উভয়েই “Parent” হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

এই মামলায় আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন কেরালার প্রথম রূপান্তরকামী আইনজীবী পদ্মা লক্ষ্মী। তিনি যুক্তি দেন,

“রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বঞ্চনা শুধুমাত্র সামাজিক নয়, প্রশাসনিক স্তরেও বিদ্যমান। এ ধরনের বৈষম্যমূলক ভাষা সংশোধন করা জরুরি।”

এই মামলাটি ভারতীয় আদালতগুলিতে এলজিবিটিকিউআইএ+ অধিকারের সুরক্ষায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত হবে।

আরও পড়ুন :

আমেরিকা ২১ লক্ষ কোটি ডলার ব্যয়ে গোপন বাঙ্কার নির্মাণ করেছে? প্রাক্তন সরকারি কর্তার বিস্ফোরক দাবি

আইপিএল ফাইনালের আগে বিস্ফোরণে চাঞ্চল্য! গুজরাটে মোদী স্টেডিয়ামের গেটের বাইরে আতঙ্ক

ad

আরও পড়ুন: