Breaking News

Trump supports RFK Jr vaccine policy

স্বাস্থ্য ও রাজনৈতিক ঝুঁকির মাঝে ট্রাম্প আবারও রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে সমর্থন করলেন

ট্রাম্প স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও রাজনৈতিক চাপ সত্ত্বেও RFK Jr.-কে সমর্থন করলেন। ফ্লোরিডার ভ্যাকসিন নীতিতেও নতুন বিতর্ক।

ট্রাম্প RFK Jr.-কে সমর্থন করলেন, স্বাস্থ্য ও রাজনৈতিক ঝুঁকি সত্ত্বেও

Trump supports RFK Jr vaccine policy

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে সমর্থন করলেন। যদিও কেনেডির ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন, কারণ তার পদক্ষেপে টিকা গ্রহণের হার কমছে। ফলে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি বেড়েছে। রাজনৈতিক মহলেও এই সমর্থন নতুন চাপ তৈরি করছে।

রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র একজন দীর্ঘদিনের ভ্যাকসিন সংশয়বাদী হিসেবে পরিচিত। তার স্বাস্থ্য সচিব হওয়ার পর এই বিতর্ক আরও বেড়েছে। প্রথমেই তিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অ্যাক্সেস সীমিত করেন। এরপর তিনি ভ্যাকসিন গবেষণার তহবিল কেটে দেন। শুধু তাই নয়, CDC প্রধানকেও সরিয়ে দেন। এই পদক্ষেপগুলো দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় তোলে।

বিশ্বে প্রথম কার্যকর এইডস টিকা তৈরি করছে রাশিয়া

পায়রা বিষ্ঠা ও ধূলিকণার স্বাস্থ্যঝুঁকি : দিল্লি তে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালে শুনানি

তবে শুধু বিতর্ক নয়, বাস্তব সমস্যাও বাড়ছে। কারণ ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা হঠাৎ সীমিত হওয়ায় অভিভাবকরা বিভ্রান্ত হয়েছেন। শিশুর টিকাদান কমছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এর ফলে হাম, হুপিং কাফ বা পোলিওর মতো রোগ ফের দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে ট্রাম্প কেনেডির ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “কেনেডির উদ্দেশ্য ভালো। তিনি ভিন্নভাবে চিন্তা করেন। সেটাই মূল্যবান।”

কেনেডির পদক্ষেপ শুধু জনস্বাস্থ্যেই নয়, ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যতেও চাপ তৈরি করছে। বিরোধীরা বলছে, প্রেসিডেন্ট জনস্বাস্থ্যের ওপর ঝুঁকি নিচ্ছেন। বিশেষত সেনেট শুনানিতে কেনেডির বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা ওঠে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তারপরও ট্রাম্প কেনেডির পাশে দাঁড়ালেন। তার মতে, ভিন্নমত শোনার প্রয়োজন আছে।

এদিকে ফ্লোরিডা প্রশাসন ঘোষণা করেছে, শিশুদের জন্য আর কোনো ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক থাকবে না। সিদ্ধান্তটি সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় আলোচনায় উঠে আসে। ট্রাম্প এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “এটি কঠিন অবস্থান। তবে কার্যকর ভ্যাকসিন ব্যবহার করতেই হবে।” ফলে বোঝা যাচ্ছে, তিনি সম্পূর্ণরূপে ভ্যাকসিনবিরোধী নন। তবে কেনেডির নীতিকে সমর্থন দিয়ে তিনি এক জটিল সমীকরণে পড়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প আসলে একদিকে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। অন্যদিকে, তিনি কেনেডির জনপ্রিয়তা ও আলাদা ভাবমূর্তিকে কাজে লাগাতে চাইছেন। বিশেষ করে স্বাধীন চিন্তা ও প্রশাসনিক সাহসী পদক্ষেপের জন্য কেনেডির সমর্থকরা তাকে শক্তিশালী ভাবেন। ট্রাম্প এই সমর্থন ধরে রাখতে চাইছেন।

অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ দ্বিধায় ভুগছেন। একদল মনে করেন, সরকারকে ভ্যাকসিনের উপর আস্থা রাখতে হবে। অন্যদল মনে করেন, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বড় বিষয়। ফ্লোরিডার মতো রাজ্যে এই নীতি অনেকেই সমর্থন করছেন। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন। তারা বলছেন, একবার কোনো রোগ ফের ছড়িয়ে পড়লে তা সামলানো খুবই কঠিন হয়ে উঠবে।

সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে, ট্রাম্প এক জটিল অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন। একদিকে তিনি কেনেডির প্রতি আস্থা দেখাচ্ছেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে। সামনের নির্বাচনে এই বিতর্ক বড় ইস্যু হয়ে উঠতে পারে। এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্প কীভাবে জনস্বাস্থ্য আর রাজনৈতিক কৌশলের ভারসাম্য বজায় রাখেন।

আরও পড়ুন :

“Ketamine Queen” এর দোষ স্বীকার, ম্যাথিউ পেরির মৃত্যুর মামলায় ৬৫ বছরের সাজা হতে পারে

পার্থ-পরেশ-অঙ্কিতা সবার জামিন, আদালতে হাজির ছিলেন ৭০ জন অভিযুক্ত

ad

আরও পড়ুন: