Breaking News

Trump UkraineWar

ইউক্রেনে প্রতিটি অস্ত্র চুক্তিতে ১০% কমিশন নেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

দ্বিতীয় মেয়াদে ইউক্রেন নীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ঘোষণা করেছেন, ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়া হবে, তবে অস্ত্র ও সরঞ্জাম দেওয়া হবে বাণিজ্যিক বিক্রির ভিত্তিতে। এতে নেটো ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে পরীক্ষার মুখে পড়তে পারে।

Trump UkraineWar: A Diplomatic Challenge Ahead %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Trump UkraineWar

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ক্ষমতার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বছরেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক কূটনীতির বড় এক অগ্নিপরীক্ষায় পড়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তিনি একদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি-কে আলোচনার টেবিলে আনার চেষ্টা (Trump UkraineWar) চালাচ্ছেন, অন্যদিকে নিজের দেশের অভ্যন্তরে সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও অস্ত্র ব্যবসার প্রশ্নে।

ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন—মার্কিন সেনা ইউক্রেনের মাটিতে যাবে না। তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইউক্রেনের জন্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ড্রোন প্রতিরক্ষা কিংবা সীমিত আকাশসীমা নজরদারি (air cover) দিতে পারে। এটি মূলত ন্যাটো নয়, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে এক ধরনের নিরাপত্তা ছাতার অংশ হতে পারে।
মার্কিন ও ইউরোপীয় সামরিক পরিকল্পনাকারীরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রূপরেখা তৈরি করছেন, যা শিগগিরই পশ্চিমি নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ওয়াশিংটনে সমাবেশ, ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে বাড়ছে কূটনৈতিক টানাপড়েন

ভয়ংকর বোমা ‘গাজাপ’ তৈরি করল তুরস্ক, বিস্ফোরণে কাঁপবে শত্রুর ঘাঁটি

ট্রাম্প চাইছেন, জেলেনস্কি ও পুতিনকে মুখোমুখি বৈঠকে বসাতে। আলোচনার সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে উঠে এসেছে বুদাপেস্ট বা জেনেভার নাম। প্রাথমিক বৈঠকের পর ট্রাম্প নিজেও যোগ দিতে পারেন একটি ত্রিপক্ষীয় সম্মেলনে
 তবে রাশিয়া এখনই সবুজ সংকেত দেয়নি। মস্কোর বক্তব্য—প্রস্তুতি ছাড়া নেতাদের সরাসরি আলোচনায় বসা সম্ভব নয়।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, ইউক্রেন আগামীতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯০–১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনতে চায়। এর মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের ড্রোন উৎপাদন চুক্তি ইউক্রেনীয় কোম্পানির সঙ্গেও হতে পারে।
বিতর্ক সৃষ্টি করেছে ট্রাম্পের ভূমিকা। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফফার্স্টপোস্ট-এর খবরে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্প ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোর মাধ্যমে ইউক্রেনের কাছে অস্ত্র বিক্রি করাচ্ছেন এবং প্রতিটি চুক্তি থেকে ১০ শতাংশ কমিশন নিচ্ছেন। সমালোচকদের মতে, তিনি যুদ্ধের কূটনীতি ও মানবিক সংকটকে ব্যক্তিগত মুনাফার সুযোগে পরিণত করছেন।

এদিকে প্রায় ৩০টি ইউরোপীয় দেশ নিয়ে গঠিত “Coalition of the Willing” বা ইচ্ছুক জোট ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। এই বাহিনী সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে না, বরং “রিএস্যুরেন্স ফোর্স” হিসেবে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করবে, যাতে রাশিয়ার আরও আগ্রাসন ঠেকানো যায়।


মূল দিকগুলো এক নজরে

  • ট্রাম্পের কৌশল: ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন স্থলসেনা নয়, আকাশ প্রতিরক্ষার সহায়তা।

  • শীর্ষ বৈঠকের উদ্যোগ: পুতিন–জেলেনস্কি আলোচনার পরিকল্পনা, তবে রাশিয়ার আপত্তি রয়ে গেছে।

  • অস্ত্র বাণিজ্যের সমালোচনা: ইউক্রেনের ১০০ বিলিয়ন ডলারের কেনাকাটায় ট্রাম্পের ১০% কমিশন ইস্যুতে বিতর্ক।

  • ইউরোপীয় সেনা মোতায়েন: ন্যাটো নয়, পৃথক জোটের বাহিনী ইউক্রেনে পাঠানোর সম্ভাবনা।

আরও পড়ুন :

পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করল সরকার

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে জনপ্রিয়তা দ্রুত তলানিতে – দ্য ইকোনোমিস্ট

ad

আরও পড়ুন: