Breaking News

TurkeyWeapons GazapBomb

ভয়ংকর বোমা ‘গাজাপ’ তৈরি করল তুরস্ক, বিস্ফোরণে কাঁপবে শত্রুর ঘাঁটি

তুরস্ক বিগত কয়েক বছরে ড্রোন প্রযুক্তি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, ও যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়েছে। এবার গাজাপের মাধ্যমে তাদের ‘ভারী বোমা অস্ত্র’ বিভাগেও আত্মবিশ্বাস স্পষ্ট।

TurkeyWeapons GazapBomb: A Revolutionary Weapon %%page%% %%sep%% %%sitename%%

TurkeyWeapons GazapBomb

ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ৩০ জুলাই ২০২৫ : বিশ্ব প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে নতুন ঝড় তুলল তুরস্ক। ইস্তাম্বুলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্পমেলায় (IDEF) তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরঅ্যান্ডডি বিভাগ প্রদর্শন করল তাদের তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা — ‘গাজাপ’ (TurkeyWeapons GazapBomb)।

এই বোমা শুধু মাত্র একটি অস্ত্র নয়, বরং এক বিশাল ধ্বংসাত্মক শক্তির নাম, যা ভবিষ্যতের যুদ্ধের সমীকরণ বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।

তুরস্কের সামরিক ক্ষমতার পরিধি আরও বিস্তৃত হল একটি ভয়ংকর নতুন বোমার আবিষ্কারে। সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্পমেলা (IDEF 2025)-তে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা (R&D) ‘গাজাপ’ নামে এক বিপজ্জনক বোমা প্রকাশ্যে এনেছে। এই বোমাটিকে তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা হিসেবে বর্ণনা করেছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। প্রায় ৯৭০ কেজি ওজনের এই বোমাটি একে একে বিশ্বের নজর কাড়ছে।

গাজাপ বোমার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, এটি প্রতি এক মিটার পরিসরে ১০.১৬টি বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম। তুলনা করলে দেখা যায়, একটি সাধারণ বোমা সাধারণত তিন মিটার ব্যবধানে একটি বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই হিসেবে গাজাপের ধ্বংস ক্ষমতা অনেক বেশি এবং ব্যাপক এলাকা জুড়ে তাৎক্ষণিক বিপর্যয় ঘটাতে পারে। এই বিস্ফোরণ ঘনত্বই গাজাপকে একটি আলাদা মাত্রা দিয়েছে। এটি শুধু একটি বিস্ফোরক নয়, বরং এটি একটি কৌশলগত অস্ত্র, যা দ্রুততার সঙ্গে শত্রুপক্ষকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম।

তুরস্কের এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজাপ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে এটি মার্কিন তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকেও সহজে ছোঁড়া যায়। অর্থাৎ, এটি শুধুমাত্র দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক সামরিক ব্যবস্থার সঙ্গেও সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি প্রয়োগযোগ্য হবে মাটির ওপরে চালানো অপারেশনে, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে, অথবা শত্রু ঘাঁটি ধ্বংসে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বোমা তুরস্কের সামরিক শিল্পে একটি মাইলফলক। বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার আবহে তুরস্ক এই অস্ত্র প্রদর্শন করে একপ্রকার বার্তাই দিল— তারা সামরিক শক্তিতে বিশ্বমানে পৌঁছাতে প্রস্তুত। তুরস্ক গত কয়েক বছরে সামরিক ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও আধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। গাজাপ সেই উন্নয়নেরই ধারাবাহিক ফলাফল।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের জের: ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পী ও সংগঠনগুলো তুরস্ক ও আজারবাইজানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে

জি-৭ সম্মেলনের পথে প্রবল তুরস্ক বিরোধী দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসে জ্বালানি ভরতে থামবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

এই বোমার আবিষ্কার কেবল তুরস্কের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রমাণ নয়, বরং এটি কূটনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। ন্যাটোর সদস্য দেশ হিসেবে তুরস্ক নিজেদের প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতা ও আগ্রাসী প্রতিরক্ষা কৌশল আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরছে। অনেকেই মনে করছেন, ভবিষ্যতে গাজাপ-এর মতো অস্ত্র অন্য দেশগুলোতেও বিক্রি করার পরিকল্পনা থাকতে পারে, যা তুরস্ককে একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।

সব মিলিয়ে গাজাপ শুধু একটি বোমা নয়, এটি তুরস্কের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এতে যেমন আছে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ, তেমনই রয়েছে রাজনৈতিক বার্তা— তুরস্ক এখন আর শুধুমাত্র ক্রেতা নয়, অস্ত্রের শক্তিশালী নির্মাতা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন :

বনগাঁ-ক্যানিং-ডায়মন্ড হারবার লাইনের যাত্রীদের জন্য সুখবর, শিয়ালদহে বাড়ছে ট্রেন সংখ্যা

নবী মুম্বাইয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রকে ইনস্টাগ্রামে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ভিডিও কল: শিক্ষিকা গ্রেফতার

ad

আরও পড়ুন: