Breaking News

TurkeyWildfire

তুরস্কে ভয়াবহ দাবানল: ইজমিরসহ একাধিক প্রদেশে আগুন, ঘরবাড়ি ফেলে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

তীব্র বাতাস ও প্রচণ্ড গরমে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে তুরস্ক। ইজমির থেকে আন্টালিয়া, মুগলা থেকে সাকারিয়া—দাবানল গ্রাস করছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শুষ্ক আবহাওয়া আর ঝোড়ো হাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে। ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন হাজারো বাসিন্দা।

TurkeyWildfire: Devastation in Western Turkey %%page%% %%sep%% %%sitename%%

TurkeyWildfire

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে ভয়াবহ দাবানল (TurkeyWildfire) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) ‘টার্কি টুডে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, দাবানল সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ইজমির প্রদেশের আলিয়াগা জেলায়। সেখানকার বোজকয় ও হোরোজগেদিগি অঞ্চলের গ্রামীণ বনাঞ্চল থেকে দাবানলের সূত্রপাত। এরপর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী ফোকার ইলিপিনার পাড়ায়।

পৃথকভাবে আগুন লাগার খবর এসেছে অন্তত সাতটি প্রদেশ থেকে—ইজমির, মুগলা, আন্টালিয়া, কানাক্কালে, বিলেসিক, হাতায় ও সাকারিয়া। প্রতিটি এলাকায় দমকল বাহিনী প্রাণপণ চেষ্টা করলেও দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।

উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া, সেই সঙ্গে ঘণ্টায় প্রায় ৪০ কিমি বেগে বইছে তীব্র বাতাস। এতে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কম আর্দ্রতা ও উচ্চ তাপমাত্রার কারণেই দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং নিয়ন্ত্রণে সময় লাগছে।

ইজমির প্রদেশের আলিয়াগা ও আশপাশের এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই ৫৫০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মোট ১৭৫টি বাড়ি খালি করে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই স্থানীয় ফোকার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন, বাকিরা আশ্রয় নিয়েছেন আশপাশের গ্রাম বা শহরে আত্মীয়দের বাড়িতে।

জি-৭ সম্মেলনের পথে প্রবল তুরস্ক বিরোধী দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসে জ্বালানি ভরতে থামবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

পেয়ারা পাতা : প্রাকৃতিক উপাদানে সুস্থ থাকার সহজ উপায়

কর্তৃপক্ষও সাধারণ মানুষকে ঘরবাড়ি ত্যাগ করে নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে দগ্ধ ঘরবাড়ি, আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের ভিডিও ও ছবি।

তুরস্কের জনপ্রিয় পর্যটনস্থল মুগলা ও আন্টালিয়াতেও দাবানলের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে। অনেকে তাদের ভ্রমণসূচি বাতিল করে দ্রুত দেশে ফিরে যাচ্ছেন। স্থানীয় হোটেল, রিসর্টগুলোতে বাতিল সংরক্ষণের হিড়িক পড়েছে।

প্রায় ১,৫০০ জন দমকল কর্মী এবং ২০০-র বেশি অগ্নিনির্বাপক যান পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুক্ত হয়েছে। আকাশপথে জল ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে হেলিকপ্টার ও ফায়ার প্লেন। তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “যে কোনও মূল্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হবে, কিন্তু তীব্র বাতাস আমাদের কাজ কঠিন করে তুলছে।”

তুরস্কের আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে এবং বাতাস শক্তিশালী হবে। ফলে দাবানলের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন :

শেফালি জারিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যু: মুম্বইয়ের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত ‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী

পুরুষের তুলনায় নারীদের যৌনসঙ্গীর সংখ্যা বেশি? NFHS-5 সমীক্ষায় চমকপ্রদ তথ্য

ad

আরও পড়ুন: