Breaking News

UK SmokeFreeGeneration

UK SmokeFreeGeneration : ২০০৯ সালের পর জন্মানো কেউ কোনো দিন তামাকজাত দ্রব্য কিনতে পারবে না

ধূমপানমুক্ত ভবিষ্যতের লক্ষ্যে এক যুগান্তকারী আইন অনুমোদন করল যুক্তরাজ্য। ২০০৯ সালের পর জন্মানো কেউ কোনো দিন তামাকজাত দ্রব্য কিনতে পারবে না—এই বিধান কার্যকর হলে ধূমপান ইতিহাস হয়ে যাবে বলে আশাবাদী ব্রিটিশ সরকার।

UK SmokeFreeGeneration: A New Era in Health %%page%% %%sep%% %%sitename%%

UK SmokeFreeGeneration

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ধূমপানবিরোধী লড়াইয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সংসদে সম্প্রতি পাস হয়েছে এমন একটি বিল, যা কার্যকর হলে তা বিশ্বের অন্যতম কঠোর ধূমপাননিষিদ্ধ আইন হিসেবে বিবেচিত হবে। এই আইন অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারির পর যেসব ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের কাছে তামাকজাত পণ্য বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ (UK SmokeFreeGeneration ) হয়ে যাবে।

এই বিলটি বর্তমানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডস-এ বিবেচনাধীন। সেখানে এটি অনুমোদন পেলে, আইনটি ২০২৭ সাল থেকে বাস্তবায়িত হবে।


লক্ষ্য: একটি ‘স্মোক-ফ্রি জেনারেশন’

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির মতে, এই আইন বাস্তবায়িত হলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে পুরো একটি প্রজন্ম ধূমপান থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকবে। এই ‘স্মোক-ফ্রি জেনারেশন’ নীতি শুধু ধূমপানের প্রবর্তন রোধ করবে না, বরং ভবিষ্যতে তামাকজাত দ্রব্যের চাহিদা ও ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনবে বলে আশাবাদী প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

অ্যাশ (ASH – Action on Smoking and Health) নামের একটি প্রভাবশালী স্বাস্থ্‌্যসচেতন সংস্থার প্রধান নির্বাহী হ্যাজেল চিজম্যান বলেন,

“এটি একটি রূপান্তরাত্মক পদক্ষেপ। ২০৪০-এর দশকের মধ্যে ১৪ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে ধূমপানের হার কার্যত শূন্যে নেমে আসবে। তখন ধূমপান শুধু ইতিহাসে রয়ে যাবে।”


কেন এই আইন এত গুরুত্বপূর্ণ?

তামাকজাত পণ্যের কারণে যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর প্রায় ৭৫,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও ধূমপানের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বহু প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS)-এর তথ্য অনুসারে, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর ধূমপানের প্রভাব ব্যাপক। NHS-এর বার্ষিক বাজেটের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় ধূমপানজনিত রোগের চিকিৎসায়।

এই প্রেক্ষিতে সরকার মনে করছে, একটি প্রজন্মের মধ্যে তামাকের প্রবেশ সম্পূর্ণ রোধ করতে পারলে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক ও সামাজিক লাভ হবে অসীম।


আইন কী বলছে?

বিল অনুযায়ী:

  • ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্মগ্রহণকারী কেউই কোনো সময়েই আইনত তামাকজাত পণ্য কিনতে পারবেন না।

  • দোকানিরা এমন ব্যক্তিদের তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করলে কঠিন শাস্তির মুখে পড়বেন।

  • আইন কার্যকর হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধূমপানকারীদের সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে এবং এক পর্যায়ে তা প্রায় বিলুপ্ত হবে।

এই উদ্যোগ অনুসরণ করে নিউজিল্যান্ডও কিছুটা আগে এমন ধরনের আইন প্রণয়নের পথে এগিয়েছিল। যদিও সেখানে রাজনৈতিক চাপ ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় আইনটি স্থগিত রাখা হয়েছে।


বিরোধিতা ও বিতর্ক

নতুন প্রজন্মকে ধূমপান থেকে দূরে রাখার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও, অনেকেই এটিকে “স্বাধীনতা হরণের পথ” বলেও সমালোচনা করছেন। তাদের মতে, প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ব্যক্তি যদি নিজের ইচ্ছায় কিছু করতে চায়, তাহলে তা নিষিদ্ধ করা ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী।

তবে সরকারি পক্ষ বলছে, এটি শুধুই ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রশ্ন নয়, বরং এটি একটি সামাজিক এবং স্বাস্থ্যগত দায়িত্ব।

আরও পড়ুন :

আইসিসিতে নতুন দুই সদস্য: পূর্ব তিমুর ও জাম্বিয়া

শুভমান গিল: ভারতের নতুন ব্র্যান্ড সুপারস্টার

ad

আরও পড়ুন: