Breaking News

Vegetarian VandeBharat

দেশের প্রথম ‘সাত্ত্বিক’ ট্রেন: ভারতীয় রেলের অভিনব পদক্ষেপ নিরামিষ যাত্রীদের জন্য

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সফল হলে অন্যান্য তীর্থযাত্রার ট্রেনেও এই ধরণের খাদ্যব্যবস্থা চালু করা হতে পারে। পাশাপাশি, যাত্রাপথে সাত্ত্বিক খাবারের বিকল্প মেনু তৈরি, স্থানীয় খাদ্য রীতিনীতিকে প্রাধান্য দেওয়া ইত্যাদি পদক্ষেপ ভাবা হচ্ছে। এই উদ্যোগ যে ভারতীয় রেলের যাত্রীপরিষেবায় নতুন মাত্রা যোগ করবে, তা বলাই বাহুল্য।

Vegetarian VandeBharat : India's First Sattvic Train %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Vegetarian VandeBharat

ক্লাউড টিভি ডেস্ক :  ভারতীয় রেল আবারও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছে — এবার যাত্রীসেবায় যোগ হচ্ছে ‘সাত্ত্বিকতা’। দিল্লি থেকে জম্মু-কাশ্মীরের বৈষ্ণো দেবীর শহর কাটরা পর্যন্ত চলাচলকারী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) হতে চলেছে দেশের প্রথম ‘সাত্ত্বিক ট্রেন’। এই ট্রেনে পরিবেশিত হবে শুধুমাত্র নিরামিষ খাদ্য (Vegetarian VandeBharat)। এমনকি যাত্রীরাও নিজেদের সঙ্গে কোনো আমিষ (নন-ভেজ) খাবার আনতে পারবেন না।

মূল আকর্ষণ ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য:

  • শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা থাকবে।
  • প্যান্ট্রি কারে রাখা হবে না মাংস, মাছ বা ডিমজাত খাদ্যদ্রব্য।
  • যাত্রীরা কোনোভাবে ট্রেনে আমিষ খাবার নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ভারতীয় রেলের এই সিদ্ধান্তকে (Vegetarian VandeBharat) দেশের নিরামিষভোজী জনগণের প্রতি এক বড় সম্মান ও ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যেসব যাত্রী ধর্মীয় বা স্বাস্থ্যগত কারণে নিরামিষ আহার পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয়।

কেন সাত্ত্বিক ট্রেন?

‘সাত্ত্বিক’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত থেকে, যার মানে হলো শান্ত, নির্মল, বিশুদ্ধ ও সহজপাচ্য খাদ্য। এই ধরনের খাবার সাধারণত উদ্ভিজ্জ, ফলমূল, দুধ ও দুধজাত দ্রব্য ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয় যা মানসিক প্রশান্তি ও দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে। যাত্রীদের মধ্যে একটি বড় অংশ আছেন, যারা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে নিরামিষ খেতে চান, বিশেষত যখন তাঁরা তীর্থযাত্রায় থাকেন। দিল্লি থেকে কাটরা গমন মূলত বৈষ্ণো দেবী দর্শনের উদ্দেশ্যে হয় — ফলে এই রুটে সাত্ত্বিক খাবারের চাহিদা অনেক বেশি।

কলকাতা ও শহরতলির যাত্রীদের জন্য একটি সুখবর! শীঘ্রই শিয়ালদা মেইন শাখায় চালু হতে চলেছে এসি লোকাল ট্রেন।

বিকেলে এই ৩ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন: বাড়াতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা

রেল দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগ কোনও ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব নয় বরং যাত্রীদের নির্দিষ্ট চাহিদা ও সংবেদনশীলতাকে সম্মান জানিয়েই এই পরিকল্পনা। এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও ভবিষ্যতে আরও কিছু বন্দে ভারত বা তীর্থযাত্রা নির্ভর ট্রেনে এই ব্যবস্থা চালু করা হতে পারে।

যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া

রেলের এই সিদ্ধান্তে নিরামিষভোজী যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা করেছেন যে, এ ধরনের ট্রেন যাত্রার অভিজ্ঞতা আরও পবিত্র ও মানসিকভাবে প্রশান্তিদায়ক করবে। তবে কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তকে একতরফা ও বিতর্কিত বলেও মত দিয়েছেন — তাঁদের মতে, সকলের জন্য বিকল্প রাখা উচিত।

পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্য সচেতন ভারত

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় রেল যদি ভবিষ্যতে আরও নিরামিষ বা পরিবেশবান্ধব খাবার সরবরাহে মনোনিবেশ করে, তবে তা দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশ রক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতন ভারত গঠনে সাহায্য করবে। এছাড়া রেলযাত্রাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সংবেদনশীল করে তুলবে।

আরও পড়ুন :

ভারত ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা: কিছু অঞ্চলে না যাওয়ার আহ্বান

ভারতের ইংল্যান্ড সফর: পিচে ঘূর্ণির ইঙ্গিত, আত্মবিশ্বাসী কুলদীপ যাদব

ad

আরও পড়ুন: