যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধ
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক স্কুলগুলোতে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ হওয়ার পর ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। শিক্ষক ও অভিভাবকরা দাবি করছেন, নিষিদ্ধের পর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বা লাইব্রেরিতে মোবাইল ব্যবহার করত, সেখানে এখন তারা বই পড়া এবং সামাজিক মেলামেশায় বেশি মনোযোগ দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারের কারণে পড়াশোনায় নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দিচ্ছিল। বিশেষ করে—
শ্রেণিকক্ষে অনেকেই লুকিয়ে টেক্সট, ই-মেইল বা ফেসটাইমে ব্যস্ত থাকতেন।
শিক্ষার্থীরা প্রায়ই ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে সময় নষ্ট করতেন।
এই আচরণ পড়াশোনার ফোকাসে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৫০টি স্টেটের মধ্যে ৩৫টি পাবলিক স্কুলে (কেজি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নয়াদিল্লির ৫০টিরও বেশি স্কুলে বোমাতঙ্ক, আতঙ্কে অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা
“যুদ্ধক্ষেত্রকে পর্যটন গন্তব্য হিসেবে দেখানো অগ্রহণযোগ্য”, ইতালির পর্যটন মেলায় নিষিদ্ধ হলো ইজরায়েল
নিরাপদ এবং মনোযোগপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে মোবাইল নিষিদ্ধের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ।
পিউ রিসার্চ সেন্টার-এর জরিপে দেখা গেছে, ৭৪% অভিভাবক এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট। আগের বছরের তুলনায় এটি ৬% বৃদ্ধি।
ইউগভ-এর সার্ভেতে ৬৪% প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকান স্কুলে সেলফোন নিষিদ্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন।
শিক্ষকরা জানান, এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ফোকাস বাড়িয়ে দিয়েছে এবং শ্রেণিকক্ষে শৃঙ্খলা রক্ষা করছে।
মোবাইল নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে দেখা গেছে—
লাইব্রেরিতে বই পড়ার আগ্রহ বেড়েছে।
শিক্ষার্থীরা ক্যাফেটেরিয়া ও খেলার মাঠে নির্বিঘ্নে সময় কাটাচ্ছে।
ক্লাসে মনোযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নির্ভরতা কিছুটা কমেছে, যা মানসিক স্বাস্থ্যেও সহায়ক।
শিক্ষকরা বলছেন, “যখন মোবাইল বন্ধ থাকে, তখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে মনোযোগী হয়। তাদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ ও একে অপরের সঙ্গে মেলামেশার মান বেড়ে গেছে।”
অভিভাবকরাও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, শিশু ও কিশোরদের জন্য এটি একটি ডিজিটাল ডিটক্স এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধি করছে।
আরও পড়ুন :
অবসর ভেঙে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ফিরলেন কুইন্টন ডি কক