US Tariff Relief India
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ভারতের রপ্তানি খাতের জন্য আসতে চলেছে বড় সুখবর। যুক্তরাষ্ট্রে শিগগিরই প্রত্যাহার হতে পারে ভারতীয় আমদানির ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক। ভারতের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (CEA) ভি. অনন্ত নাগেশ্বরন জানিয়েছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের পর এই বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে মার্কিন প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানিকারকরা যে চাপের মধ্যে ছিলেন, তা কাটতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্য ভারসাম্যের কথা বলে একাধিক দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করে। ভারতও তার ব্যতিক্রম ছিল না। বিশেষত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য মার্কিন বাজারে রপ্তানি করতে ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত শুল্ক গুনতে হতো। এর ফলে :
ভারতের রপ্তানি কমে যায়।
প্রতিযোগিতার বাজারে ভারতীয় পণ্য পিছিয়ে পড়ে।
টেক্সটাইল ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতও প্রভাবিত হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি সামগ্রিক রপ্তানি যে হারে বেড়েছে তার ৭ গুণ দ্রুত হারে বেড়েছে
নতুন সম্ভাবনা : রপ্তানিতে স্বস্তি
ভারত-আমেরিকার কৌশলগত সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও ভূরাজনৈতিক সহযোগিতার কারণে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কও শক্তিশালী হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য বড় স্বস্তি বয়ে আনতে পারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে :
✅ ভারতীয় ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম খাতের চাপ কমবে।
✅ টেক্সটাইল ও হালকা শিল্পে রপ্তানি আবারও চাঙ্গা হবে।
✅ মার্কিন বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রতিযোগিতা বাড়বে।
✅ কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুল্ক প্রত্যাহার হলে ভারতের রপ্তানি আয় বাড়বে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ এবং উৎপাদন বাড়ানোর প্রকল্পে নতুন গতি আসবে।
মার্কিন প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও না আসলেও, নভেম্বরের পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে ভারতীয় শিল্প মহলে ইতিমধ্যেই আশার আলো জেগেছে।
আরও পড়ুন :