WestBengal Schools Mandatory StateAnthem
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও সরকার-পোষিত সকল বিদ্যালয়ে এখন থেকে দিন শুরুতেই রাজ্যসঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, যেখানে বলা হয়েছে প্রতিদিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠানে ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে নিয়মিত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী Bratya Basu নিজেই এক্স (টুইটে )জানান —
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমত্যানুসারে, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সরকার ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯০৫ সালে রচিত বিখ্যাত “বাংলার মাটি বাংলার জল” গানটি বিদ্যালয়ের প্রারম্ভে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার জন্য অনুমোদিত হল। কবি… pic.twitter.com/eUGcdWrXdL
— Bratya Basu (@basu_bratya) November 7, 2025
এই নির্দেশিকার উদ্দেশ্য ব্যাপক — রাজ্যের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও রাজ্যচেতনা আরও বাড়িয়ে দেওয়া। শিক্ষা দপ্তর মনে করছে, প্রতিদিন সকালে গান গাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, আবেগপূর্ণ সংযোগ ও পরিচয় জাগ্রত করবে।
“বঙ্গের ভোটার লিস্টে ১ কোটিরও বেশি ভুয়ো ভোটার”, গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
বিহার ভোট ২০২৫: প্রথম ধাপে ১২১ আসনে ভোট, মহাযুদ্ধের ময়দানে মহাগঠবন্ধন বনাম এনডিএ
‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি প্রথম লেখা হয় ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক। এই গান ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়Resolution–র মাধ্যমে রাজ্যসঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
বিদ্যালয় স্তরে এই নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় বিভিন্ন দিক থেকে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেক শিক্ষক বলছেন, নিয়মটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজ্যের প্রতি মনোবল বাড়াবে। এদিকে কিছু অভিভাবক প্রশ্ন তুলছেন — প্রতিদিন এটি গাওয়ার ফলে কি শিক্ষার্থীর পাঠ্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে? স্কুল প্রশাসনকে কি অতিরিক্ত সময় দিতে হবে? এসব বিষয় শিক্ষা দপ্তর বিবেচনায় নিয়েছে कहा হয়েছে, প্রয়োজন হলে সহায়ক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, রাজনৈতিক পর্যায়ে এই সিদ্ধান্তকে রাজ্য সরকারের একটি সচেতনতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বাংলা ভাষা ও বাঙালি ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের একাংশ বলছে,
“নিয়মটি বাংলা চেতনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।”
স্কুল-শিক্ষক-প্রশাসন সব জায়গায় নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করতে বলেছে। প্রতিটি উচ্চপ্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা নিশ্চিত করবেন প্রতিদিন জাতীয় সঙ্গীত ও রাজ্যসঙ্গীত যথাসময়ে অনুষ্ঠান হবে।
বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন রাজ্যে-ই রাজ্যসঙ্গীত চালু হয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গও তার ফেরিকে চিহ্নিত করছে। এই ক্ষেত্রে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি রাজ্যের পরিচয় ও সংস্কৃতিকে সংহত করার বড় মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উপসংহারে বলা যায়, এই নতুন নির্দেশিকা শুধুই একটি গান গাওয়ার বিষয় নয় — এটি শিক্ষাব্যবস্থা, সংস্কৃতি ও রাজ্যচেতনা তিন-ই ক্ষেত্রেই একটি নতুন মাইলফলক। আগামী দিনে দেখা যাবে, বিদ্যালয় পরিবেশে এই নিয়ম কীভাবে বাস্তবায়িত হয়, এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজ্যবোধ ও সাংস্কৃতিক সংযোগ কতটা দৃঢ় হয়।
আরও পড়ুন :
টেসলা শেয়ারহোল্ডাররা Elon Musk-র জন্য এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেতনের প্যাকেজ অনুমোদন করল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বারানসী তে ৪টি নতুন Vande Bharat Express ট্রেন উদ্বোধন করবেন