WestBengal Schools Holiday
কলকাতা | ১২ জুন ২০২৫ : পশ্চিমবঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ১৩ এবং ১৪ জুন (শুক্র ও শনিবার) রাজ্যের সব সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তীব্র গরম ও তার প্রভাবে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী তার এক্স (প্রাক্তন টুইটার) অ্যাকাউন্টে ঘোষণা করেন:
“রাজ্যে গরমের প্রকোপ বেড়ে চলেছে। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আগামী ১৩ ও ১৪ জুন রাজ্যের সমস্ত সরকারি, সরকার পোষিত, ও সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। তবে এই সিদ্ধান্ত পার্বত্য জেলা যেমন দার্জিলিং, কালিম্পং, সহ অন্যান্য উচ্চভূমির জন্য প্রযোজ্য নয়।”
এই ঘোষণা রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
— Bratya Basu (@basu_bratya) June 12, 2025
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছুঁয়ে যাচ্ছে। কিছু এলাকায় হিট ইনডেক্স (Heat Index) ৪৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা শরীরের উপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে চলতি বছর আগাম গ্রীষ্মের ছুটি ঘোষণা করে ৩০ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তারপর ২ জুন থেকে স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
চীনে স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শিক্ষা
রাজ্যে প্রথম করোনা-মৃত্যুতে চাঞ্চল্য, বাড়ছে সংক্রমণ — সতর্ক রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর
কিন্তু গ্রীষ্ম অবসানের বদলে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহেও গরমের প্রকোপ অব্যাহত থাকায় অভিভাবক মহল থেকে সরকারের উপর চাপ তৈরি হয়। স্বাস্থ্য ও আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১৩ ও ১৪ জুন সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে নির্দেশ দেওয়া না হলেও বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও ছুটি ঘোষণা করতে পারে।
পার্বত্য অঞ্চল (Darjeeling, Kalimpong) ও উত্তরবঙ্গের ঠান্ডা আবহাওয়াযুক্ত জেলাগুলোতে স্কুল খোলা থাকবে।
ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক মহলে স্বস্তি ফিরেছে এই সিদ্ধান্তে। বীরভূমের এক অভিভাবক বলেন,
“বাচ্চারা স্কুল থেকে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই রকম গরমে স্কুল চালু রাখা মানে ওদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলা।”
হাওড়ার এক স্কুলশিক্ষিকা জানিয়েছেন,
“ক্লাসে বাচ্চারা মনোযোগ দিতে পারছে না। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ক্লান্ত। তাই এই সিদ্ধান্ত সময়োচিত।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতে গ্রীষ্মে ভোরবেলা ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। ইতিমধ্যে কিছু রাজ্যে এই রীতি চালু রয়েছে।
একই সঙ্গে স্কুলগুলোতে বিশুদ্ধ পানীয় জল, ছায়াযুক্ত পরিবেশ, এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে।
আরও পড়ুন :
১ জুলাই থেকে তৎকাল টিকিটে বড় পরিবর্তন: বাধ্যতামূলক হচ্ছে আধার ভেরিফিকেশন