Breaking News

WorldWar3Alert NATOWarning

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা! রাশিয়া-চীন বন্ধুত্ব নিয়ে চরম সতর্কবার্তা ন্যাটো মহাসচিবের

রাশিয়া ও চীনের কৌশলগত বন্ধুত্ব বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে। তাঁর মতে, ইউক্রেনের যুদ্ধই ভবিষ্যতের দৃষ্টান্ত— এবার সেই আগুন তাইওয়ান পর্যন্ত ছড়াতে পারে।

WorldWar3Alert NATOWarning: A Global Crisis Looms %%page%% %%sep%% %%sitename%%

WorldWar3Alert NATOWarning

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, সংকট ও ক্ষমতার লড়াইয়ের আবহে এবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে। তাঁর মতে, রাশিয়া ও চীনের ‘নিবিড় বন্ধুত্ব’ এই মুহূর্তে বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি (WorldWar3Alert NATOWarning)। যদি পশ্চিমী  বিশ্ব সময় থাকতে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এই বন্ধুত্বের ফল হতে পারে আরেকটি ভয়াবহ বিশ্ব যুদ্ধ

সোমবার (৭ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস-কে দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে মার্ক রুটে এই মন্তব্য করেন।

ন্যাটো মহাসচিব বলেন,

“আজ ইউক্রেনে যা ঘটছে, কাল সেটা খুব সহজেই তাইওয়ানে ঘটতে পারে। রাশিয়া ও চীন একে অপরকে কৌশলগতভাবে সহায়তা করছে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ভারসাম্য ধ্বংস করছে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, চীন রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণকে পরোক্ষভাবে সমর্থন জানিয়ে এক অশনি সংকেত দিচ্ছে – আর সেটাই এখন বিশ্বের জন্য চিন্তার বিষয়।

প্রায় ১৮ মাস ধরে প্রস্ততি, চীনের সীমান্ত ঘুরে রাশিয়ায় গোপনে প্রবেশ, ইউক্রেনের ‘স্পাইডারস ওয়েব’ অপারেশনের বিস্ফোরক সাফল্য

রাশিয়া এক রাতে ৩৫৫টি ড্রোন ও ৯টি ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যা যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা।


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে কেমন হবে পরিণতি?

মার্ক রুটের ভাষায়,

“যদি এই যুদ্ধ শুরু হয়, তবে এটি হবে আগের দুই বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ। এতে শুধু ইউরোপ বা এশিয়া নয়, গোটা মানবসভ্যতা বিপন্ন হবে।”

তিনি আরও বলেন –

“পরমাণু অস্ত্র, সাইবার যুদ্ধ, ড্রোন প্রযুক্তি এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র – সব মিলিয়ে ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে দ্রুত, বিধ্বংসী এবং রক্তক্ষয়ী।”

ন্যাটো মহাসচিব জানান, যুদ্ধের সম্ভাবনা আঁচ করে ইউরোপের বহু দেশ প্রতিরক্ষা বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।

  • জার্মানি, ফ্রান্স ও পোল্যান্ড প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল বরাদ্দ ঘোষণা করেছে

  • সদস্য দেশগুলোকে ‘স্ট্যান্ড রেডি’ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

  • বাল্টিক অঞ্চল ও পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো বাহিনী মোতায়েনও বাড়ছে


চীন-রাশিয়া জোট: কেবল অর্থনৈতিক নয়, সামরিকও

বিশ্লেষকদের মতে, গত কয়েক বছরে চীন ও রাশিয়ার কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতা শুধু রাজনৈতিক নয় –
এটি এখন প্রযুক্তি, সেনা মহড়া ও কৌশলগত সম্পদ ভাগাভাগির স্তরেও পৌঁছে গেছে।

  • ২০২৪ সালে চীন ও রাশিয়ার জয়েন্ট নেভাল এক্সারসাইজ নিয়ে অনেকটাই আতঙ্কিত হয় পশ্চিমী  বিশ্ব

  • মস্কো ও বেইজিং এখন একই ভাষায় কথা বলছে আমেরিকা ও ইউরোপের বিরুদ্ধে

সাক্ষাৎকারে মার্ক রুটে বলেন,

“এই বিপদের মুহূর্তে পশ্চিমা জোটের ঐক্যই একমাত্র পথ। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা এবং অন্যান্য সহযোগী দেশগুলোকে অবশ্যই এক ছাতার নিচে থাকতে হবে।”

তিনি যোগ করেন,

“তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকাতে হলে কেবল অস্ত্র নয়, প্রয়োজন কূটনীতি, সচেতনতা এবং দৃঢ় নেতৃত্ব।”

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. থমাস ফিনলে বলেন,

“চীন ও রাশিয়ার মধ্যে এখনকার বোঝাপড়া ঠিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে হিটলার-মুসোলিনির জোটের মতোই। সময় থাকতে পশ্চিমা বিশ্ব যদি প্রস্তুতি না নেয়, তাহলে পৃথিবী আরেকটি বড় বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে।”

আরও পড়ুন :

ট্রাম্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে ইলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’! সতর্ক করছেন বিশ্লেষকরা

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নের সুপারিশ নেতানিয়াহুর, হোয়াইট হাউসে চিঠি হস্তান্তর

ad

আরও পড়ুন: