Zohran Mamdani India Connection
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচণে আলোচনার কেন্দ্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রগ্রেসিভ নেতা জোহরান মমদানী। কেবল রাজনৈতিক অবস্থান নয়, তাঁর প্রচারের ভাষা, সাংস্কৃতিক রেফারেন্স এবং ব্যক্তিগত পরিচয়— সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে তিনি বিশেষ সাড়া তুলেছেন।
মমদানী উগান্ডা-জন্ম, ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর মা, খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার, যিনি ‘মনসুন ওয়েডিং’, ‘দ্য নেমসেক’-এর মতো বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত ছবির নির্মাতা। ফলে সাংস্কৃতিক বহুরূপী পরিবেশে বড় হওয়া মমদানি রাজনীতিতেও বহুত্ববাদ এবং অন্তর্ভুক্তির ভাবনাকে সামনে আনছেন।
সম্প্রতি এক কমিউনিটি সভায় তিনি জওহরলাল নেহরু-র বিখ্যাত উদ্ধৃতি উল্লেখ করেন—
“রাজনীতি যখন মানুষের জীবনের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তখন তা দায়িত্ব, দায়িত্ববোধ এবং সম্মানের জায়গা তৈরি করে।”
এই উদ্ধৃতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা তৈরি করেছে। কারণ প্রবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে নেহরুর চিন্তা আজও পরিচয়ের অংশ।
মমদানির প্রচার সভা, রাস্তায় মিছিল এবং যুব সমাবেশে মাঝে মাঝে শোনা যাচ্ছে বলিউডের জনপ্রিয় গান।
বিশেষ করে—
“ই দিল হ্যায় মুসলিমা, দিল হ্যায় হিন্দু…”
“(Aao Saathi)”
এর মতো গান ব্যবহার করে তাঁরা বহুত্বের বার্তা দিচ্ছেন।
তরুণদের কাছে এটি রাজনৈতিক প্রচারে নতুন, প্রাণবন্ত, কম আনুষ্ঠানিক এক অভিজ্ঞতা।
নিউ ইয়র্কে ভারতীয়, পাকিস্তানি, বাংলাদেশি এবং নেপালি অভিবাসীদের বড় অংশ মধ্যবিত্ত বা শ্রমশ্রেণীর মানুষ। তাঁদের প্রধান সমস্যা—
ভাড়া বাড়তি চাপ
স্বাস্থ্যব্যবস্থার খরচ
অভিবাসী আইনি জটিলতা
মমদানি এই তিনটি ক্ষেত্রেই ধারাবাহিকভাবে কার্যকর লড়াই করছেন। এজন্য অভিবাসীদের মধ্যে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।
মমদানির প্রচারের মূল স্লোগান
“City for the workers, not for the billionaires.” এই স্লোগান নিউ ইয়র্কের শ্রমজীবী মানুষের কাছে গভীর সাড়া ফেলছে।
নিউইয়র্কে ইতিহাস গড়লেন জোহারান মামদানি, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম প্রথম মেয়র
নিউ ইয়র্কে বন্দুকবাজের হামলা, শহীদ বাংলাদেশি অভিবাসী পুলিশ অফিসার, মোট নিহত ৪
মমদানির ভারত সংযোগ রাজনৈতিক প্রভাব রাখছে কি?
বিশ্লেষকদের মতে—
ভারতীয় সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন তাঁর প্রচারকে উষ্ণ এবং মানবিক করেছে
দক্ষিণ এশীয় ভোটব্যাংক (ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি, বাংলা, নেপালি জনতা) তাঁর পক্ষে সংহত হতে শুরু করেছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রগ্রেসিভ রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব হিসেবে তিনি দৃশ্যমান হয়ে উঠছেন
এটিকে বলা হচ্ছে—
“ডায়াসপোরা পলিটিক্সের নতুন অধ্যায়।”
মমদানির সামনে চ্যালেঞ্জ—
নিউ ইয়র্ক সিটি প্রশাসনের অর্থনৈতিক ভারসাম্য
উচ্চবিত্ত দাতব্য লবি-রাজনীতির চাপ
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা
তবে বর্তমানে তরুণ ভোটার, অভিবাসী জনগোষ্ঠী এবং শহুরে শ্রমিক সংগঠন তাঁর মূল শক্তি।
আরও পড়ুন :
সেন্সেক্স + ন্যিফটি ব্যালান্স: গিফট-নিফটি থেকে শুরু, গ্রাসিম-হিন্দালকো লিডারবর্ডে পিছিয়ে