Breaking News

Zubeen Garg Cousin Arrest

জুবিন গর্গ মামলায় নতুন মোড় : সিঙ্গাপুর ইয়ট পার্টিতে উপস্থিত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার খুড়তুতো ভাই আসাম পুলিশের ডিএসপি সন্দীপন গর্গ

জুবিন গর্গের মৃত্যুর তদন্তে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। তাঁর খুড়তুতো ভাই ও আসাম পুলিশের অফিসার সন্দীপন গর্গকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, সিঙ্গাপুরের ইয়ট পার্টিতে তিনি উপস্থিত ছিলেন, যেখানে জুবিনের মৃত্যু হয়।

Zubeen Garg Cousin Arrest : জুবিন গার্গ মামলায় গ্রেফতার খুড়তুতো ভাই

Zubeen Garg Cousin Arrest

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : আসামের জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ-এর মৃত্যু তদন্তে এবার নতুন এক মোড় দেখা দিয়েছে। গায়কের খুড়তুতো  ভাই ও আসাম পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট সন্দীপন গর্গ-কে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ, জুবিনের রহস্যজনক মৃত্যু ও সিঙ্গাপুর ইয়ট পার্টির ঘটনার সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল।

জুবিন গর্গ গত মাসে এক ব্যবসায়ী বন্ধুর আমন্ত্রণে সিঙ্গাপুরে যান। সেই সময় একটি প্রাইভেট ইয়ট পার্টি আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী, কয়েকজন বিনোদন জগতের মানুষ এবং পরিবারের সদস্যরাও। তদন্তে জানা যায়, পার্টি চলাকালীন জুবিন আচমকাই জলে পড়ে যান এবং অল্প সময়ের মধ্যেই নিখোঁজ হন। পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় সিঙ্গাপুরের সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে।

প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক অসঙ্গতি সামনে আসে। ইয়টের নিরাপত্তা ফুটেজ এবং অতিথিদের বিবরণে দেখা যায়, সেদিন পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর তুতোভাই সন্দীপন গর্গ, যিনি আসাম পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক।

তদন্তে উঠে এসেছে যে, জুবিন জলে পড়ার পর তৎক্ষণাৎ উদ্ধার প্রচেষ্টা শুরু হয়নি। সন্দীপন সেই মুহূর্তে নাকি ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন, তবুও উদ্ধার অভিযানে দেরি হয় বলে অভিযোগ। তাছাড়া, তাঁর দেওয়া বয়ান ও অন্যান্য সাক্ষীদের বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি  পাওয়া গেছে।

এছাড়া, পার্টির সময় ব্যবহার করা নৌকার নিরাপত্তা নথিতেও কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তদন্তকারী সংস্থা সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে তথ্য আদান-প্রদান করছে। সব দিক বিচার করেই শনিবার রাতে সন্দীপনকে  গ্রেফতার করা হয় এবং সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

জুবিন গর্গের পরিবার এই ঘটনার পর থেকেই গভীর শোকে নিমগ্ন। পরিবারের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো মন্তব্য করা হয়নি, তবে এক আত্মীয় জানিয়েছেন, “আমরা ন্যায় চাই। কে দোষী, সেটা তদন্তেই প্রমাণিত হোক।”

অন্যদিকে, সন্দীপনের  আইনজীবীর দাবি—তাঁর মক্কেলকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “সন্দীপন একজন সৎ অফিসার, যিনি নিজেও জুবিনের মৃত্যুর জন্য মর্মাহত।”

আসামজুড়ে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। জুবিন গর্গ রাজ্যের সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যু নিয়ে এমন বিতর্ক রাজ্যবাসীকে নাড়িয়ে দিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী নেতারা দাবি করেছেন, “একজন পুলিশ অফিসার পর্যন্ত জড়িত থাকলে তদন্ত আরও স্বচ্ছ হতে হবে।”

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “তদন্ত চলবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে। কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।”

ছয় দিন নিখোঁজ থাকার পর পাওয়া গেল অঙ্ক অনার্সের ছাত্রী স্নেহা দেবনাথের দেহ, শোকস্তব্ধ প্রিয়জন

রেলের বড় ঘোষণা: কনফার্ম টিকিটের তারিখ এখন থেকে অনলাইনে পরিবর্তন করা যাবে

কারণ ঘটনাটি সিঙ্গাপুরে ঘটেছে, তাই ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর পুলিশ ও ইন্টারপোলের সহায়তায় তদন্ত এগিয়ে চলছে। ফরেনসিক রিপোর্ট, মদ্যপানের মাত্রা, এবং সিসিটিভি ফুটেজ—সব মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি সন্দীপনের  বিরুদ্ধে প্রমাণ মজবুত হয়, তাহলে তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অনিচ্ছাকৃত হত্যার (culpable homicide not amounting to murder) মামলায় অভিযুক্ত করা হতে পারে।

জুবিন গর্গের অকালমৃত্যুতে দেশজুড়ে শোক নেমেছিল। এখন তাঁরই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের নাম উঠে আসায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছেন, “We want justice for Zubeen.” — অর্থাৎ, শিল্পীর প্রতি ভালোবাসা যেন ন্যায়বিচারের পথে বাধা না হয়, সেটিই এখন সবার প্রত্যাশা।

আরও পড়ুন :

দীপিকা পাডুকোনের হিজাব বিতর্কে উত্তাল নেটপাড়া

কিয়ের স্টার্মার প্রথম ভারত সফর: মুম্বাইয়ে কি ইঙ্গিত দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী

ad

আরও পড়ুন: