AishwaryaRai
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয়ের পর থেকে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ভারতীয় বিনোদন জগতে এক অনন্য নাম। তার সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব, অভিনয়গুণ এবং ক্যারিশমা মিলে তিনি কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। পর্দায় ঐশ্বরিয়ার (AishwaryaRai) উপস্থিতি যেন জাদুর মতো—একবার চোখ পড়লে আর সরানো যায় না।
যদিও গত কয়েক বছরে তাকে পর্দায় আগের মতো নিয়মিত দেখা যায় না, তবুও তার জনপ্রিয়তা বা আর্থিক সাফল্যের গ্রাফ একটুও কমেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ভারতের অন্যতম সফল নারী উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীদের একজন হিসেবে।
বর্তমানে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩৮৮.৬ কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়), যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০০০ কোটি টাকা। এই বিপুল সম্পদ তাকে খুব শিগগিরই ভারতের শীর্ষ ধনী অভিনেত্রীদের তালিকায় প্রথম সারিতে নিয়ে যাবে।
তার সম্পদ গঠনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের সাফল্য এবং বিচক্ষণ বিনিয়োগের কৌশল। অভিনয়ের প্রথম থেকেই তিনি নিজের উপার্জনকে স্থায়ী আয়ের উৎসে রূপান্তর করেছেন, যা সময়ের সঙ্গে বহুগুণে বেড়েছে।
ঐশ্বরিয়া বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের একজন। জানা যায়, তিনি একটি সিনেমার জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকা নেন। অভিনয়ের বাইরে তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় শীর্ষ ব্র্যান্ডের মুখপাত্র, যার জন্য প্রতি ব্র্যান্ড প্রমোশনে তার আয় ৬–৭ কোটি টাকা।
তার ব্র্যান্ড প্রেজেন্স এতটাই শক্তিশালী যে, তিনি একাধিকবার বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারীর তালিকায় জায়গা পেয়েছেন এবং গ্লোবাল ফ্যাশন ও সৌন্দর্য অঙ্গনের অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত হয়েছেন।
শুধু অভিনয় বা ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট নয়, ঐশ্বরিয়া ব্যবসা দুনিয়াতেও নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। তার বিনিয়োগ রয়েছে শেয়ার মার্কেট, রিয়েল এস্টেট এবং একাধিক স্টার্টআপে। এ কারণে তাকে বলিউডের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী নারী হিসেবেও গণ্য করা হয়।
বিশেষ করে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে তার বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য। তিনি একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও বাড়ির মালিক। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় অবস্থিত তার বর্তমান বাসভবনের মূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া দুবাইয়ে রয়েছে একটি বিলাসবহুল ভিলা, যা আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চমূল্যের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত।
ঐশ্বরিয়া রাইয়ের জীবনের গল্প একদিকে যেমন গ্ল্যামার, তেমনি রয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও বাস্তবতার মিশেল। ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জেতার পর তিনি বলিউডে পা রাখেন এবং দ্রুতই ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে পৌঁছে যান। ‘হাম দিল দে চুকে সানম’, ‘দেবদাস’, ‘গুরু’, ‘যোধা আকবর’সহ একাধিক হিট ছবিতে তার অভিনয় তাকে সমালোচক ও দর্শক উভয়ের প্রশংসা এনে দেয়।
তবে বয়সের সঙ্গে ক্যারিয়ার পরিকল্পনাও বদলেছে। তিনি বর্তমানে কম সিনেমা করলেও যে বুদ্ধিদীপ্ত বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তাকে স্থায়ীভাবে সম্পদের শীর্ষ তালিকায় জায়গা করে দিয়েছে।
অর্থনীতিবিদ এবং বিনোদনবিশ্লেষকদের মতে, ঐশ্বরিয়া যদি আগামী কয়েক বছরেও একইভাবে ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যান, তবে তার সম্পদ খুব সহজেই ১৫০০ কোটি টাকা অতিক্রম করবে। এ অবস্থায় তিনি শুধু ভারতের নয়, বরং এশিয়ার অন্যতম ধনী অভিনেত্রী হয়ে উঠতে পারেন।
আরও পড়ুন :
মুক্তির আগেই বাজিমাত রজনীকান্তের ‘কুলি’, বক্স অফিসে রেকর্ড অগ্রিম বিক্রি
শাহরুখ খানের বিলাসবহুল বাংলো মান্নাত এর নাম আগে কি ছিল জানেন ?