south city mall
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ২০০৮ সালে উষা কোম্পানির জমিতে কলকাতায় শপিং মল (South City Mall) চালুর পরে কলম্বোতে সমুদ্রতীরে দুটি ৬২ তলা টাওয়ার তৈরিতে হাত দেয় সাউথ সিটির কনসর্টিয়াম। শ্রীলঙ্কার অংশে অংশীদার ছিলেন ওই দেশের এক শীর্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, বর্তমানে তিনি দেশছাড়া। দ্বীপরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দুই বহুতলের সমস্ত ফ্ল্যাটই ছিল আধুনিক জীবনের বিলাসিতায় মোড়া স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট। কিন্তু কোভিডের সময় টানা দু’বছর বন্ধ থাকা ও সমুদ্রের লবণাক্ত জলের হাওয়ায় প্রতিটি ফ্ল্যাটের আসবাব ও পরিকাঠামো নষ্ট হয়ে যায়। শ্রীলঙ্কান অংশীদার রাষ্ট্রে অভ্যুত্থানের কারণে দেশছাড়া হওয়ায় প্রায় ৮০০ কোটির প্রকল্পে ভয়ানক ক্ষতির সম্মুখীন হয় কনসর্টিয়াম। বস্তুত সেই ভয়ানক ক্ষতি সামাল দিতেই মার্কিন সংস্থাকে ‘সোনার রাজহাঁস’ মল (South City Mall) বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
“ট্রোলের জবাবে শালীনতা বজায় রাখলেন রুবেল দাস, নেটিজেনরা প্রশংসায় ভাসালেন”
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের কলেজে ‘ভারতীয় নাচ-গান’ নিষিদ্ধ
কলম্বোয় ৬২ তলার দুই যমজ সহোদরের ‘ক্ষতি’ সামাল দিতে গিয়ে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শপিং মল সাউথ সিটি (South City Mall)। বিশ্ববিখ্যাত মার্কিন বিনিয়োগকারী সংস্থা ব্ল্যাকস্টোনের সঙ্গে বিক্রির সর্বোচ্চ দর ও নানা শর্ত নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় আলোচনা করছেন সাউথ সিটির ছয় মালিকের কনসর্টিয়াম। সূত্রের খবর, ব্ল্যাকস্টোন ৩, ৫০০ কোটির কিছু বেশি টাকা দর দিয়েছে। শপিং মল ছাড়াও এই লেনদেনের তালিকায় রয়েছে পিছনের সাউথ সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, কলম্বোর সর্বোচ্চ যমজ ৬২ তলা টাওয়ারও। মার্কিন বিনিয়োগকারী সংস্থার মূল টার্গেট, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সাড়ে বারো লক্ষ বর্গ ফুট আয়তনের এই জনপ্রিয় ও লাভজনক শপিং মলটি। তবে চেষ্টা হচ্ছে স্কুলটি বাঁচিয়ে রাখার।
মার্কিন সংস্থার শীর্ষ কর্তারা শপিং মল (South City Mall) ও কলম্বোর দুই টাওয়ার দেখেছেন। এখন সম্পত্তিগুলির নথি পরীক্ষার পাশাপাশি আইনি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বড়মাপের অঘটন না ঘটলে পরবর্তী ২/৩ সপ্তাহের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। নতুন আর্থিক বছরের শুরুতে ১ এপ্রিল থেকেই দায়িত্ব নিতে পারে ব্ল্যাকস্টোন।” উল্লেখ্য, সাউথ সিটি মল তৈরি হয় প্রখ্যাত ইমামি গ্রুপ, মার্লিন গ্রুপ, প্রদীপ সুরেখা গ্রুপ, শ্রাচি গ্রুপ, যুগলকিশোর খেতাওয়াদ ও রাজেন্দ্র কুমার বাচাওয়াতের মতো কলকাতার প্রথম সারির ছয়টি রিয়েল এস্টেট সংস্থার কনসর্টিয়ামের মাধ্যমে।
প্রশ্ন উঠেছে, মার্কিন সংস্থার হাতে গেলে বর্তমানে মলের (South City Mall) বিভিন্ন শোরুম ও সংস্থায় কর্মরত প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মীর উপর কোনও প্রভাব পড়বে না তো? দৈনন্দিন কেনাকাটা করতে আসা সাধারণ ক্রেতারা কি আদৌ উপকৃত হবেন?
Facebook : https://www.facebook.com/cloud.tv24x7
x (twitter) : https://x.com/cloudTV_NEWS