MadeInChina AmericanBrands
ক্লাউড টিভি নিউজ ডেস্ক, কলকাতা : কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনার ছায়ায় আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক ঘটনা মিস করে যাচ্ছি—চীন ও আমেরিকার মধ্যকার এক দুঃসাহসিক জিও-ইকোনমিক সংঘর্ষ। সম্প্রতি আমেরিকা চীনা পণ্যের উপর ১৩৫% পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে। জবাবে চীনও ১৪৫% পর্যন্ত ট্যারিফ চাপিয়েছে আমেরিকান পণ্যের উপর। তবে এখানেই শেষ নয়। সত্যিকারের ‘খেলা’ শুরু হয়েছে লাক্সারি মার্কেটের ওপর দখল (MadeInChina AmericanBrands) নিয়ে।
বিশ্বের প্রায় সব নামকরা লাক্সারি ব্র্যান্ডের উৎপাদন কেন্দ্র চীন। Louis Vuitton, Dior, Chanel, Hermes, Gucci, Prada, এমনকি Apple, Samsung, Sony—সবকিছুর উৎপাদন হচ্ছে চীনের কারখানায়।
চীন এবার আর শুধু উৎপাদনেই থেমে থাকেনি। তারা এবার একটি সাইকোলজিক্যাল মার্কেটিং যুদ্ধ শুরু করেছে। TikTok, Weibo সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তারা একে একে ফাঁস করছে এই লাক্সারি পণ্যের আসল উৎপাদন (MadeInChina AmericanBrands) খরচ।
উদাহরণ হিসেবে—
$২৫,০০০ ডলারের Hermes Birkin Bag-এর উৎপাদন খরচ মাত্র $১৮০
Dior-এর $১২০০ ডলারের হিলের ফ্যাক্টরি কস্ট $৪০
$৭০০ ডলারের Gucci বেল্ট বানাতে খরচ পড়ে $২৫
$১৫০০ ডলারের iPhone-এর পার্টস মিলে খরচ মাত্র $১০০
China Dark Factory: কমিউনিস্ট চিনে এবার শ্রমিক ছাড়া আস্ত কারখানা, প্রমাদ গুনছে বিশ্ব
চীন শুধু এই তথ্য ফাঁস করেই থেমে থাকেনি। তারা এসব পণ্যের OEM ভার্সন—অর্থাৎ একই মেটেরিয়াল, একই ডিজাইন ও ফিনিশিং—কিন্তু ব্র্যান্ড ছাড়া, এই পণ্যগুলো এখন অনলাইনে বিক্রি করছে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে। একজন গ্রাহক এখন $১০,০০০ ডলারের স্যুট পাচ্ছেন $১০০-এ (MadeInChina AmericanBrands)।
চীনের এই স্ট্রাটেজি মার্কেট ডায়নামিকসকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। তারা বুঝিয়ে দিচ্ছে—লাক্সারি মানেই কোয়ালিটি নয়, বরং সেটি একটি ‘ব্র্যান্ডিং ইল্যুশন’। আমেরিকার ব্র্যান্ড ইকুইটি, যা এতদিন গ্লোবাল মার্কেটে ‘প্রেস্টিজ’ হিসেবে কাজ করত, সেটাকেই এখন প্রশ্নবিদ্ধ করছে চীন।
এই যুদ্ধ শুধুমাত্র পণ্যের দামে নয়, মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তন আনার। চীন বলছে—“তুমি ব্র্যান্ডের জন্য নয়, প্রোডাক্টের জন্য টাকা দাও।” (MadeInChina AmericanBrands) এই চিন্তাধারা যদি গ্লোবাল মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে, তবে Apple, Gucci, Dior-এর মতো ব্র্যান্ডগুলো বড়সড় বিপদে পড়বে।
একবিংশ শতাব্দীর এই জিও-ইকোনমিক যুদ্ধ তাই শুধু ট্যারিফ বা ট্রেড ব্যালেন্সে সীমাবদ্ধ নয়। এটা ব্র্যান্ড মানসিকতা, ভোক্তার মনস্তত্ত্ব এবং অর্থনৈতিক শক্তির আসল মাপকাঠিতে রূপ নিচ্ছে।
আমেরিকার জবাব কী হবে, সেটা সময়ই বলবে। তবে আপাতত গেমপ্ল্যান, টার্গেট ও এক্সিকিউশনে চীন এক ধাপ এগিয়ে।
#GeoEconomics #ChinaVsUSA #LuxuryMarketWar #BrandMyth #EconomicWarfare #MadeInChina #AmericanBrands #GlobalTradeShift #TikTokExposé #OEMRevolution
আরও পড়ুন :
২৮ বছর পর বৈশাখে ‘শীতল’ রাত! কলকাতায় তাপমাত্রা কমল ২০ ডিগ্রি, চমকে দিল আবহাওয়া