Breaking News

TrumpEUDeal TradeAgreement

সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে ট্রাম্প-ইউরোপের ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি: $৭৫০ বিলিয়ন জ্বালানি ক্রয় ও $৬০০ বিলিয়ন বিনিয়োগ

ইউরোপ আগামী তিন বছরের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে $৭৫০ বিলিয়ন মূল্যের জ্বালানি (LNG, তেল, পারমাণবিক জ্বালানি) কিনবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে $৬০০ বিলিয়ন বিনিয়োগ করবে বিভিন্ন শিল্প ও প্রযুক্তি খাতে।

TrumpEUDeal TradeAgreement Impact on Global Trade %%page%% %%sep%% %%sitename%%

TrumpEUDeal TradeAgreement

ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ২৮ জুলাই, ২০২৫: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে এক ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে যা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন স্কটল্যান্ডে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির ঘোষণা (TrumpEUDeal TradeAgreement ) করেন।

চুক্তি অনুসারে, ইউরোপ আগামী তিন বছরের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে $৭৫০ বিলিয়ন মূল্যের জ্বালানি (LNG, তেল, পারমাণবিক জ্বালানি) কিনবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে $৬০০ বিলিয়ন বিনিয়োগ করবে বিভিন্ন শিল্প ও প্রযুক্তি খাতে। এর বিনিময়ে আমেরিকা ইউরোপীয় পণ্যে পূর্ব ঘোষিত ৩০% ট্যারিফ আরোপ না করে তা ১৫% এ সীমিত রাখছে।

১৪ দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প, ফের ছড়াচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তাপ

টেসলা অবশেষে ভারতে: মডেল Y–র দাম ₹60‑68 লাখ, চালু হলো মুম্বই শোরুম


চুক্তির মূল শর্তাবলি

  • ট্যারিফ হ্রাস: ইউরোপীয় গাড়ি, ফার্মাসিউটিক্যাল, ইলেকট্রনিকস ও কৃষিপণ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি শুল্ক এখন ১৫% হবে, যা আগে ট্রাম্প ৩০% করার হুমকি দিয়েছিলেন।

  • শূন্য ট্যারিফ কিছু পণ্যে: বিমান, কিছু রাসায়নিক, জেনেরিক ওষুধ ও কৃষিপণ্যে শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

  • স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম ব্যতিক্রম: এই দুটি ক্ষেত্রে ৫০% ট্যারিফই বহাল থাকছে, যদিও ভবিষ্যতে কোটা ভিত্তিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

  • বিনিয়োগ পরিকল্পনা: ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি উৎপাদন ও গবেষণায় বিনিয়োগ করবে। অনেক বিনিয়োগ হবে নবায়নযোগ্য শক্তি ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে।


নেতৃবৃন্দের প্রতিক্রিয়া

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন,

“এটি সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুক্তি। আমরা আমাদের উৎপাদন, শক্তি রপ্তানি এবং বিনিয়োগে এক বিশাল জয় অর্জন করলাম।”

উরসুলা ভন ডার লেইন মন্তব্য করেন,

“আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছেছি। ইউরোপীয় বাজারের জন্য এটি স্বস্তিদায়ক হলেও যুক্তরাষ্ট্রকেও তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।”


⚠️ সমালোচনা ও বিতর্ক

চুক্তিটি নিয়ে ইউরোপের ভেতর কিছু উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষ করে জার্মানি ও ফ্রান্সের কিছু শিল্প গোষ্ঠী মনে করছে, ১৫% ট্যারিফ এখনও তাদের রপ্তানি শিল্পের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। সেই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের “একতরফা সিদ্ধান্ত” নেওয়ার অধিকার থাকায় অনেকেই এটিকে সময়ক্ষেপণের কৌশল বলেও অভিহিত করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চুক্তিটি তাৎক্ষণিক স্থিতিশীলতা আনলেও এটি স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ চুক্তির অনেক কিছুই ভবিষ্যতের পারফরম্যান্স ও বিশ্বাসের উপর নির্ভর করছে।


অর্থনৈতিক প্রভাব

চুক্তির ঘোষণার পরেই:

  • ইউরোপের বাজার কিছুটা উর্ধ্বমুখী হয়েছে।

  • ডলার শক্তিশালী হয়েছে।

  • তেল ও এলএনজি কোম্পানির শেয়ারে দ্রুত বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই চুক্তি যদি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এটি ট্রাম্প প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অর্জন হিসেবে চিহ্নিত হবে।

আরও পড়ুন :

গাজায় দুর্ভিক্ষের ছায়া এড়াতে ইজরায়েলের ট্যাকটিক্যাল ‘পজ’ বা ‘এয়ারড্রপ’-এর মতো ‘দেখনদারি’ পদক্ষেপ কি যথেষ্ট

চিদাম্বরমের প্রশ্নে উত্তাল রাজনীতি — ‘পাক থেকে এসেছে’ কেন ধরে নেওয়া হলো?

ad

আরও পড়ুন: