Breaking News

ভারতে ধনীর সংখ্যা

ভারতে বাড়ছে ধনীর সংখ্যা, মিলিয়নেয়ারদের রাজধানী হলো মুম্বাই

হুরুন ইন্ডিয়ার সমীক্ষা বলছে, ভারতে ধনীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। মুম্বাই এখন মিলিয়নিয়ার রাজধানী। ধনী পরিবারের সংখ্যা চার বছরে দ্বিগুণ হয়েছে।

ভারতে ধনীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, মিলিয়নিয়ার রাজধানী মুম্বাই

ভারতে ধনীর সংখ্যা

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ভারতে ধনীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। হুরুন ইন্ডিয়ার সর্বশেষ সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক নতুন চিত্র। বছরে এক কোটি টাকা আয়কারীর সংখ্যা ছয় বছরে তিনগুণ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা আগামী দিনগুলোতে আরও ত্বরান্বিত হবে।

ভারতের অর্থনীতি গত এক দশকে শক্ত ভিত গড়েছে। ব্যবসা, প্রযুক্তি এবং অবকাঠামো উন্নয়নে দেশ ক্রমশ এগিয়ে গেছে। ফলে উচ্চবিত্ত ও ধনীদের সংখ্যা বাড়া স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এই বৃদ্ধি শুধুমাত্র সংখ্যায় নয়, আকারেও বিস্ময়কর।


৬ বছরে তিনগুণ কোটিপতি ভারতীয়

ইকোনমিক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, ‘মার্সিডিজ-বেঞ্জ হুরুন ইন্ডিয়া ওয়েলথ ২০২৫’ রিপোর্টে বলা হয়েছে—
২০১৭-১৮ অর্থবছরে বছরে অন্তত এক কোটি টাকা আয় করতেন প্রায় ৮১ হাজার মানুষ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজারে।
অর্থাৎ ছয় বছরে কোটিপতি ভারতীয়ের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এটি ভারতের আয়ের বৈষম্যের আরেকটি প্রতিচ্ছবি। যদিও ধনী বাড়ছে, তবু গরিব মানুষের দৈনন্দিন সংগ্রাম একই রকম আছে। তবে ধনীদের উত্থান দেশের অর্থনীতিকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও শক্তিশালী করছে।

বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনীর স্ত্রীরা কী করেন?

বিশ্বের শীর্ষ ধনী শহরের তালিকায় স্থান পেল দুবাই


সুপার ধনীদের উত্থান

সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউশনাল রিসার্চ বলছে, গত পাঁচ বছরে ১০ কোটি টাকা আয়কারীর সংখ্যা বেড়েছে ৬৩ শতাংশ।
২০২৪ সালে এমন ধনী ছিল ৩১ হাজার ৮০০ জন।
এছাড়া ৫ কোটি আয়কারীর সংখ্যা ৪৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ২০০।
৫০ লাখ টাকা আয়কারীর সংখ্যাও ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ১০ কোটিপতি ধনীদের আয় বার্ষিক গড়ে ১২১ শতাংশ হারে বেড়েছে।
এমন প্রবৃদ্ধি ধনী শ্রেণির জীবনযাত্রাকে আরও বিলাসবহুল করেছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে বৈষম্যের আশঙ্কা।


ধনী পরিবারের উত্থান

২০২১ সালে ন্যূনতম ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার নেট সম্পদ থাকা পরিবার ছিল ৪ লাখ ৫৮ হাজার।
২০২৫ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ লাখ ৭১ হাজার।
অর্থাৎ মাত্র চার বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ধনী পরিবারের সংখ্যা।

এটি ভারতের সম্পদ বণ্টনের ভিন্ন দিকও তুলে ধরে। কারণ সম্পদ বাড়ছে কিছু নির্দিষ্ট হাতে। এর ফলে সামাজিক বৈষম্য আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা। তবে ইতিবাচক দিক হলো, এই অর্থ দেশের ভোগব্যয় এবং বিনিয়োগ বাড়াতে সাহায্য করছে।


মুম্বাই হলো মিলিয়নেয়ার রাজধানী

২০২৫ সালের রিপোর্টে প্রথমবার প্রকাশিত হয় ‘মার্সিডিজ-বেঞ্জ হুরুন ইন্ডিয়া ইনডেক্স’।
এতে বলা হয়েছে, ভারতের মিলিয়নিয়ার রাজধানী হলো মুম্বাই। এখানে রয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ধনী পরিবার।
তালিকায় পরের অবস্থানে দিল্লি রয়েছে ৬৮ হাজার ২০০ পরিবার নিয়ে।
তৃতীয় স্থানে আছে বেঙ্গালুরু, যেখানে মিলিয়নিয়ার পরিবার ৩১ হাজার ৬০০।

রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে মহারাষ্ট্র। রাজ্যে মিলিয়নিয়ার পরিবারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার। জিডিপি ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ধনসম্পদ বেড়েছে।


ধনীদের জীবনযাত্রা ও বিনিয়োগ

হুরুন সমীক্ষা বলছে, ধনীদের মধ্যে ডিজিটাল পেমেন্ট সবচেয়ে জনপ্রিয়। প্রায় ৩৫ শতাংশ ধনী ইউপিআই অ্যাপ ব্যবহার করেন।
তাদের বিনিয়োগের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে শেয়ারবাজার, আবাসন এবং স্বর্ণ।
বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের মধ্যে তারা আস্থা রাখেন রোলেক্স, তানিস্ক, এমিরেটস এবং এইচডিএফসি ব্যাংকের ওপর।

এটি প্রমাণ করে, ভারতের ধনীরা এখন আন্তর্জাতিক মানের ভোগবিলাসে অভ্যস্ত। ফলে বিলাসপণ্য বাজারও ক্রমশ বাড়ছে।

আরও পড়ুন :

শাহরুখ ছাড়াও কারা পেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার? সম্পূর্ণ তালিকা দেখুন

দুর্গাপুজোয় মেট্রো পরিষেবা: ব্লু, গ্রীন, ইয়েলো ও পার্পল লাইনের সম্পূর্ণ টাইম টেবিল

ad

আরও পড়ুন: