IndiaRussiaOil 500PercentTariff
ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ১৫ জুলাই ২০২৫ : রাশিয়ার থেকে তেল কিনে পুতিনের যুদ্ধকে ‘অর্থ জোগানো’র অভিযোগে এবার বড় শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পথে হাঁটছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ও ডেমোক্র্যাট সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেথালের নেতৃত্বে একটি দ্বিদলীয় বিল পেশ হয়েছে—যার নাম “Sanctioning Supporters of Russia Act of 2025”। এতে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যারা রাশিয়ার থেকে তেল, গ্যাস, বা ইউরেনিয়াম আমদানি করছে, বিশেষ করে ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোর ওপর আমদানি পণ্যে ৫০০% পর্যন্ত শুল্ক বসানো হোক (IndiaRussiaOil 500PercentTariff)।
এই পদক্ষেপকে বিশ্লেষকরা বলছেন “অর্থনৈতিক বাঙ্কার-বাস্টার“, যা মূলত পুতিনের যুদ্ধযন্ত্রে যোগান দেওয়া অর্থের প্রবাহ থামাতে আমেরিকার সর্বশেষ রাজনৈতিক অস্ত্র।
বিলের যুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ভারত ও চীনসহ একাধিক দেশ রাশিয়ার জ্বালানি পণ্য আমদানি করে তার অর্থনীতি সচল রাখছে। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই।
সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন,
“আমরা যদি সত্যিই রাশিয়ার যুদ্ধ থামাতে চাই, তাহলে শুধু পুতিন নয়, যারা তাকে আর্থিকভাবে টিকিয়ে রেখেছে, তাদেরও চাপে আনতে হবে।”
The President’s announcement is a breakthrough step—committing to both substantial military aid & strong sanctions. It recognizes the urgency of showing sledgehammer strength—because peace through strength is the only viable strategy with a thug like Putin. https://t.co/g3pWpWL7Qx
— Richard Blumenthal (@SenBlumenthal) July 14, 2025
কি বলা হয়েছে বিলে?
যেসব দেশ রাশিয়ার তেল, গ্যাস বা ইউরেনিয়াম আমদানি করে,
তাদের পণ্যে ৫০০% পর্যন্ত শুল্ক বসানো হবে,
মার্কিন প্রেসিডেন্ট চাইলে যেকোনো সময় এই শুল্ক কার্যকর করতে পারবেন,
রাশিয়ার আয়ের বড় উৎসগুলোতে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই প্রস্তাব।
ভারতের ক্ষেত্রে প্রভাব কী হতে পারে?
২০২৪ সালে ভারত তার তেলের ৪০% এর বেশি রাশিয়া থেকে আমদানি করেছে, যেখানে সস্তায় তেল কিনে তা পরিশোধিত করে পুনরায় রপ্তানিও করছে। ফলে এই বিল বাস্তবায়িত হলে ভারত থেকে আমদানি করা যেকোনো পণ্যে (বিশেষ করে পেট্রোকেমিক্যাল, রিফাইন্ড ফুয়েল, স্টিল, সার) ৫০০% আমদানি শুল্ক বসাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে তেলের দাম বাড়ছে, কিন্তু ভারত কতটা চাপে?
এটি ঘটলে—
ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যে বড় ধাক্কা,
ভারতীয় রপ্তানিকারক সংস্থাগুলির ক্ষতি,
IPEF বা অন্যান্য কৌশলগত চুক্তি স্থগিত হওয়ার আশঙ্কা।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে বলেছেন, তিনি এই ধরনের একটি পদক্ষেপ সমর্থন করেন। তবে এটিকে “সম্পূর্ণ নির্বাহী সিদ্ধান্তের আওতায় থাকা উচিত” বলেও মন্তব্য করেন। অর্থাৎ, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি নিজ ইচ্ছেমতো এই শুল্ক আরোপ করবেন কিনা তা নির্ধারণ করবেন।
বিশ্ব বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরণের বিল পাস হয়ে কার্যকর হলে তা কেবল ভারত-চীন নয়, গোটা BRICS দেশগুলোর জন্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে—
গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনে
জ্বালানি মূল্যে
মার্কিন ব্যবসার ওপরেও (যেহেতু আমদানির খরচ বাড়বে)
আরও পড়ুন :
১৬১টি ছবিতে একটানা নায়িকা চরিত্রে অভিনয়, চলে গেলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের ‘এভারগ্রীন’ রানি বি সরোজা দেবী
পাকিস্তানে মঞ্চস্থ হল ‘রামায়ণ’, করাচিতে ‘মৌজ প্রোডাকশনস’ এর সাহসী নাট্য প্রয়াস