ManishTewari ZeroTariffClaim
নতুন দিল্লি, ১৫ মে ২০২৫: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যে যে ভারত নাকি যুক্তরাষ্ট্রকে “জিরো ট্যারিফ” সুবিধা দিয়েছে, তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তেওয়ারি (ManishTewari ZeroTariffClaim)। তিনি কেন্দ্র সরকারকে সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন, “এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর এবং জনগণের সামনে সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে হবে এটি সত্য কিনা।”
ট্রাম্পের এক নির্বাচনী সমাবেশে বলা বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর শুল্ক বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, যা মার্কিন কৃষক ও উৎপাদকদের জন্য উপকারী হবে। এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় উঠে।
ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েন্সি এর প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন এলন মাস্ক
মণীশ তেওয়ারি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন, “ভারত কি আসলেই এমন একটি ‘জিরো ট্যারিফ’ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে? (ManishTewari ZeroTariffClaim) যদি হয়ে থাকে, তবে এটি ভারতের অর্থনৈতিক স্বার্থের বিপরীতে।” তিনি আরও বলেন, “ট্রাম্পের দাবি যদি সত্যি হয়, তবে কেন্দ্র সরকারকে এর জবাব দিতে হবে — কারণ এটি আমাদের কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও উৎপাদন খাতের জন্য ভয়ানক সিদ্ধান্ত।”
তেওয়ারি আরও প্রশ্ন তোলেন, “এই সিদ্ধান্ত কি সংসদে আলোচনার মাধ্যমে হয়েছে? নাকি মোদি সরকার একতরফা ভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড় দিয়েছে?”
Is it a fact that India has offered a Zero Tariff deal to the United States?
That needs an explicit answer from the Government ? https://t.co/rKqBHQzz99
— Manish Tewari (@ManishTewari) May 15, 2025
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নানা স্তরের আলোচনা চলছে এবং এখনো কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। বাণিজ্য সচিব সুনীল বারথওয়াল বলেছেন, “এখনো আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ভারত তার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং কোনো ধরনের চুক্তি এখনও হয়নি।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “ভারতের পক্ষে সবসময়েই ভারসাম্যপূর্ণ ও স্বার্থরক্ষাকারী চুক্তির চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে আপস করছি না।”
ভারতের রাজনৈতিক মহলে এই ইস্যুতে মতভেদ স্পষ্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের বক্তব্য হয়তো একটি রাজনৈতিক চমক, তবে এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ নীতিনির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহল ও বিরোধীরা এটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে পরিণত করেছে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘জিরো ট্যারিফ’ ব্যবস্থা যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে এতে ভারতের ঘরোয়া উৎপাদন খাত চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে কৃষিজাত পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতা ভারতীয় বাজারে বাড়তে পারে।
কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীদল সরকারকে দাবি জানিয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করা হোক। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, “সরকারের উচিত প্রধানমন্ত্রী নিজে এই বিষয়ে সংসদে এসে অবস্থান স্পষ্ট করা।”
#ManishTewari #TrumpIndiaTariffDeal #CongressVsCentre #IndiaUSTrade #ZeroTariffClaim #ModiGovtAccountability #IndiaPolitics #TradePolicyDebate
আরও পড়ুন :
গাজা ইস্যুতে নীরবতা নিয়ে কানে বিতর্ক, চলচ্চিত্র জগতের ক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্সের রিভিয়েরা