Breaking News

Trump AutoIndustry

ট্রাম্প চান টোকিও ও লন্ডনের রাস্তায় মার্কিন পিক-আপ গাড়ি, কিন্তু চাহিদা কোথায়?

“টোকিওর রাস্তায় Ford F-150 চালানো মানে ক্যানভাসে হাতি হাঁটানোর চেষ্টা। এটা মার্কেট স্ট্র্যাটেজি না, এটা মার্কেট ফ্যান্টাসি।”

Trump AutoIndustry Push for American Vehicles %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Trump AutoIndustry

ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের আলোচনার কেন্দ্রে। এইবার তিনি সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন—জাপান ও লন্ডনের  রাস্তায় যেন আরও বেশি করে “মার্কিন পিক-আপ ট্রাক ও গাড়ি” দেখা যায়। বিশেষ করে Ford F-150, Chevrolet Silverado, ও Cadillac Escalade-এর মতো বড়সড় গাড়িগুলো তিনি আন্তর্জাতিক বাজারে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন (Trump AutoIndustry)।

ট্রাম্পের দাবি, “এই গাড়িগুলো শক্তিশালী, নিরাপদ, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো সুন্দর। জাপান ও ইউরোপকে এসব গাড়ি গ্রহণ করতেই হবে।

কিন্তু বাস্তবতা বলছে, মার্কিন গাড়ি নির্মাতারা এই বাজারে নানা বাধায় পড়ছেন।


টোকিও ও লন্ডনের বাজারে চ্যালেঞ্জ কোথায়?

ট্রাম্পের আশার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপ ও জাপানের রাস্তায় বড় গাড়ির চাহিদা অত্যন্ত কম। কারণ:

  • রাস্তা সরু, বিশেষ করে টোকিওতে;

  • পার্কিং জায়গা সীমিত;

  • বাম দিকে ড্রাইভিং (Right-hand Drive) ;

  • ফুয়েল-এফিশিয়েন্সি ও কমপ্যাক্ট ডিজাইনের গাড়ির জনপ্রিয়তা বেশি

ফলে Ford বা GM-এর মতো কোম্পানিগুলোর বড় পিক-আপ গাড়িগুলোর জন্য এই বাজার আদৌ উপযোগী নয়।

সাদ্দামের ‘ওয়াটার প্যালেস’ এখন উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র : আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বাগদাদে প্রথম স্নাতক সমাবর্তন

ট্রাম্পের ১০০% বিনোদন শুল্কে বিপাকে বলিউড—শঙ্কায় ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি


পরিসংখ্যান কী বলছে?

  • ২০০৫ সালে ইউরোপে Ford বিক্রি করেছিল ১২ লক্ষের বেশি ইউনিট, ২০২৪ সালে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪.২৬ লক্ষ।

  • বাজার শেয়ার নেমে এসেছে ৮.৩% থেকে মাত্র ৩.৩%-এ।

  • জাপানে Ford ইতিমধ্যেই ২০১৬ সালে বাজার ছেড়েছে।

  • ইউরোপে কেবল Jeep কিছুটা বাজার ধরতে পেরেছে—তাও RHD সংস্করণ ও SUV জনপ্রিয়তার কারণে।


শুল্ক চুক্তি ও কূটনৈতিক প্রভাব

২০২৫ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্প একটি ট্যারিফ চুক্তি করেন জাপানের সঙ্গে। এতে জাপান যুক্তরাষ্ট্র থেকে Ford F-150 ও Cadillac আমদানি করতে সম্মত হয়েছে। তবে আমেরিকা এখনো জাপানি গাড়ির উপর শুল্ক কমায়নি—এটি দ্বিমুখী অসাম্য বলে সমালোচকরা উল্লেখ করছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু শুল্ক ছাড় দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ব্যবহারকারীর প্রয়োজন, অবকাঠামো এবং সংস্কৃতিগত বাধাও ভেঙে ফেলতে হবে।

গাড়ি বিশ্লেষক ও আন্তর্জাতিক বাজার গবেষক রায়ান মাতসুও বলেন:

“টোকিওর রাস্তায় Ford F-150 চালানো মানে ক্যানভাসে হাতি হাঁটানোর চেষ্টা। এটা মার্কেট স্ট্র্যাটেজি না, এটা মার্কেট ফ্যান্টাসি।”

ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট হলে এই ইস্যুতে আরও আগ্রাসী হতে পারেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কোন বাজারে তিনি এই গাড়িগুলোর জন্য প্রকৃত চাহিদা তৈরি করতে পারবেন? যদি না তিনি কোম্পানিগুলিকে RHD, EV (electric vehicle), বা হাইব্রিড কমপ্যাক্ট মডেল তৈরি করতে উৎসাহ দেন, তাহলে এই উদ্যোগ সফল হবে না।

আরও পড়ুন :

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আফগানদের ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান: সীমান্তে মানবিক বিপর্যয়

শুভমান গিল এখনই পেছনে ফেলেছেন শচীন-কোহলিকে? পরিসংখ্যানে চমকে দিচ্ছে নতুন ‘টেস্ট কাণ্ডারি’

ad

আরও পড়ুন: