TrumpTariff2025 AmericaFirstAgain
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অঙ্গনে ফের আলোড়ন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (৭ জুলাই) ঘোষণা করেছেন, ১৪টি বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে, যার মধ্যে কিছু দেশে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসছে। আগামী ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে এই শুল্ক (TrumpTariff2025 AmericaFirstAgain) কার্যকর হবে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে অনিশ্চয়তা ও উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন,
“আমরা এমন দেশের সঙ্গে কাজ করছি যারা আমাদের পণ্য গ্রহণ করে না, অথচ তাদের পণ্য আমাদের বাজারে ঢুকছে শুল্ক ছাড়া। এটা আর চলবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যুক্তরাজ্য ও চীনের সঙ্গে চুক্তি করেছি। ভারতের সঙ্গেও চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত। কিন্তু কিছু দেশের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ নেই। তাই আমরা সরাসরি শুল্কের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।”
তবে ট্রাম্প বলেন, তিনি এখনও আলোচনার জন্য উন্মুক্ত এবং চুক্তির সম্ভাবনা থাকলে নমনীয় হতে রাজি।
নতুন শুল্ক কাঠামো অনুযায়ী, মোট ১৪টি দেশ এই শুল্কের আওতায় পড়েছে:
দেশ | শুল্কের হার |
---|---|
লাওস | ৪০% |
মিয়ানমার | ৪০% |
থাইল্যান্ড | ৩৬% |
কম্বোডিয়া | ৩৬% |
বাংলাদেশ | ৩৫% |
সার্বিয়া | ৩৫% |
ইন্দোনেশিয়া | ৩২% |
দক্ষিণ আফ্রিকা | ৩০% |
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | ৩০% |
মালয়েশিয়া | ২৫% |
তিউনিসিয়া | ২৫% |
জাপান | ২৫% |
দক্ষিণ কোরিয়া | ২৫% |
কাজাখস্তান | ২৫% |
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উন্নয়নশীল ও মাঝারি আকারের অর্থনীতির দেশগুলি এই শুল্কে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বিশেষ করে যেসব দেশের বড় অংশ মার্কিন বাজারনির্ভর।
নতুন শুল্ক আরোপে যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ, বলছে মার্কিন বিনিয়োগ কোম্পানি
ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া জানিয়েছে, তারা শীঘ্রই কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা শুরু করবে।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া, যারা ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত, তারাও হতাশা প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চলেছে, কারণ এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বহুপাক্ষিক বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধে যেতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৫ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ট্রাম্প আবার “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতিকে তুলে ধরছেন। নিজের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে চীনের বিকল্প ‘সহজ টার্গেট’ দেশগুলোর ওপর শুল্ক চাপিয়ে জাতীয়তাবাদী অর্থনীতি দর্শন প্রচার করছেন তিনি। তবে এই কৌশলের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন :
ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নের সুপারিশ নেতানিয়াহুর, হোয়াইট হাউসে চিঠি হস্তান্তর
বিহারে ‘ডাইনি বিদ্যার’ অভিযোগে একই পরিবারের পাঁচজনকে হত্যা, তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য