AsansolRobbery DisguisedAsSage
ক্লাউড টিভি ডেস্ক | আসানসোল : ধর্মের মুখোশে অপরাধের ছক! সাধুর বেশে আশীর্বাদের নাম করে সাধারণ মানুষের সর্বনাশ করার চেষ্টায় নামা চারজন ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করল পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া চারজনই উত্তর ভারতীয়—উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনা সোমবারের। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা কৃষ্ণা বাউরি তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে পূজো দিতে আসেন আসানসোলের কুলটি থানার অধীনস্থ পুরনো কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে, যা ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত। পূজো শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে, দামাগড়িয়া রেলব্রিজের কাছে ঘটে যায় ছিনতাইয়ের ঘটনা।
চারজন সাধুর বেশধারী ব্যক্তি কৃষ্ণা বাউরির স্ত্রীর কাছাকাছি এসে আশীর্বাদ দেওয়ার নাম করে আচমকা তাঁর গলায় থাকা সোনার মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত একটি চারচাকা গাড়িতে করে কলকাতার দিকে পালিয়ে যায়।
গাজা সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনা ইজরায়েলের, অনাহারে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নামে কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, যে গাড়িতে চেপে অভিযুক্তরা পালিয়েছিল, সেটি আবার ঝাড়খণ্ডের দিকেই ফিরে আসছে। পুলিশ এরপর মেলাকোলা সংলগ্ন রাস্তায় নাকা তল্লাশি শুরু করে।
অবশেষে গাড়িসহ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার সময় অভিযুক্তদের কাছ থেকে কিছু চুরি যাওয়া গয়নাও উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গ্রেফতার হওয়া চারজনকে মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দেখছে এদের পেছনে কোনও বৃহৎ অপরাধ চক্র জড়িত কি না।
এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে যে, সাধু বা ধর্মীয় বেশধারীদের ওপর অন্ধ বিশ্বাসে ভরসা করাই কাল হতে পারে। পুলিশ সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার আবেদন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন :
সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে আবারও লড়াইয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রশ্ন উঠছে এবারও সরে যাবেন কি?