Breaking News

DY Chandrachud

প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিচারপতিরই

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় একই দিনে দু’টি পৃথক বেঞ্চ গঠন করেন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের জামিন শুনানির জন্য

DY Chandrachud's Controversial Court Decisions %%page%% %%sep%% %%sitename%%

DY Chandrachud

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ভারতের বিচারব্যবস্থার শীর্ষ আসন ঘিরে তীব্র বিতর্ক! সুপ্রিম কোর্টের সদ্য-অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনৈতিক আচরণের অভিযোগ আনলেন একজন প্রাক্তন বিচারপতি। বিষয়টি ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছেছে এবং তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা ও কৌতূহল।

অভিযোগ করেছেন পাটনা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাকেশ কুমার, যিনি পরবর্তীতে অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টেও বিচারপতি ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে চিঠি লিখে দুর্নীতিদমন আইনের ১৭এ ধারায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

শীর্ষ আদালতের শীর্ষপদে বিচারপতি বিআর গাভাই: ছয় মাসের মেয়াদে দেশের প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন দলিত বিচারপতি

ইউক্রেনে ধরা পড়ল দুই চিনা সেনা, ক্ষুব্ধ বেজিং – শি জিনপিংকে কিম জং উনের সঙ্গে তুলনা জেলেনস্কির

তিস্তা শেতলবাদের জামিন শুনানি ঘিরেই বিতর্ক

বিচারপতি রাকেশ কুমারের অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে ২০২৩ সালের ১ জুলাইয়ের ঘটনা, যখন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় একই দিনে দু’টি পৃথক বেঞ্চ গঠন করেন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের জামিন শুনানির জন্য।

বিচারপতি রাকেশ কুমারের দাবি, “একই দিনে দু’টি বেঞ্চ গঠন কেন করা হল, তা স্পষ্ট নয়। এর পেছনে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির (DY Chandrachud) পক্ষ থেকে একটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তের প্রতি অন্যায্য সহানুভূতির প্রতিফলন থাকতে পারে। এটি সরাসরি পদক্ষেপের অপব্যবহার এবং ন্যায়বিচারের আদর্শের পরিপন্থী।”

এই বিষয়ে তদন্ত না হলে জনসাধারণের বিচারব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস দুর্বল হয়ে পড়বে বলেও দাবি করেন তিনি। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন যে, বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা রক্ষা করতেই তিনি রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছেন।

রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমোদন, তদন্তে সিবিআইয়ের দাবি

প্রাক্তন বিচারপতির (DY Chandrachud) এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই আইন ও বিচার মন্ত্রকের বিচার বিভাগ থেকে কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ বিভাগে (DoPT) পাঠানো হয়েছে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য।

সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে বিষয়টির গুরুত্ব বিচার করে প্রাথমিক যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে বলে ধারণা।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতিদমন আইনের ১৭এ ধারা অনুসারে, কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর আগে রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমতি প্রয়োজন। আর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দেশের অন্যতম শীর্ষ সাংবিধানিক পদ (DY Chandrachud) হওয়ায় এই অনুমতি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।

নানা মহলে প্রতিক্রিয়া, বিভক্ত মতামত

এই অভিযোগ নিয়ে দেশের বিচারিক মহলে জোর আলোড়ন তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, এটা সুপ্রিম কোর্টের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রশ্ন; আবার কেউ এটাকে ব্যক্তিগত মতভেদ বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির ‘মতামতনির্ভর অভিযোগ’ বলেই দেখছেন।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল সূত্রে জানা গেছে, এই অভিযোগের সত্যতা এখনও যাচাই হয়নি। কিন্তু চিঠির বিষয়বস্তু এবং এতে তোলা প্রশ্নগুলো বিচারব্যবস্থার কাঠামো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক তৈরি করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যদি রাষ্ট্রপতি তদন্তের অনুমতি দেন, তবে এটি হবে ভারতের বিচারব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব এবং নজিরবিহীন ঘটনা

#JusticeChandrachud #JudiciaryUnderScrutiny #SCControversy #TeestaSetalvad #RakeshKumarLetter #IndianJudiciary #PresidentialApproval

আরও পড়ুন :

কারাবাসেও ‘প্রেমের অধিকার’: ইতালির জেলে তৈরি হল ‘মিলন কক্ষ’, ইতিহাসে প্রথম আইনি অনুমোদন

হৃদরোগে আক্রান্ত রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, শীঘ্রই হতে পারে ওপেন হার্ট সার্জারি

ad

আরও পড়ুন: