Breaking News

MaoistThreatInKolkata

কলকাতার বুকে ‘মাওবাদী’ হুমকি: স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে চাওয়া হল ৫০ লক্ষ টাকা

পুলিশ তদন্তে নেমেছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রকৃত মাওবাদী সংযোগ আছে কি না

shocking MaoistThreatInKolkata reveals a gold shop owner

MaoistThreatInKolkata

৭ জুন, ২০২৫ |  ক্লাউড টিভি :  কলকাতা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বড়বাজারে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। একটি সোনার দোকানের মালিকের কাছে ডাকযোগে একটি চিঠি পৌঁছেছে, যেখানে তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা ‘মাওবাদী তহবিলে’ অনুদান (MaoistThreatInKolkata) দিতে বলা হয়েছে। প্রেরকের নাম এবং টাকা জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট ঠিকানাও উল্লেখ করা রয়েছে চিঠিতে।

চিঠি পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে বড়বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যবসায়ী। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং খতিয়ে দেখছে আদৌ এটি প্রকৃত মাওবাদীদের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে, নাকি কেউ নাম ভাঁড়িয়ে হুমকি দিয়ে টাকা তুলতে চাইছে।

চিঠিতে প্রেরক নিজের পরিচয় দিয়েছেন সমীর মণ্ডল নামে এবং দাবি করেছেন, তাঁরা মাওবাদী সংগঠনের সদস্য। লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, “মাওবাদী তহবিলের শক্তিবৃদ্ধির জন্য ৫০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। অনুগ্রহ করে তা দান করুন।”

অপারেশন ‘সিন্ধু’র গভীরে ভারত! পাকিস্তানি ডসিয়ারে চাঞ্চল্যকর দাবি ফাঁস

অতীতের ময়দান: জ্যোতিষ গুহ থেকে ধীরেন দের সামনে তখন খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হওয়াটাই ছিল বিরাট ব্যাপার

তবে এখানেই শেষ নয়। ওই অর্থ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা এলাকার এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। তাঁর নামও চিঠিতে স্পষ্ট করে লেখা – গুপীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মকুল

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হল, চিঠিতে খোলাখুলি হুমকি দেওয়া হয়েছে:

“পুলিশের কাছে গেলে কিছু হবে না। পুলিশ আমাদের কিছু করতে পারবে না।”
এই ধরনের স্পষ্ট হুমকি স্বর্ণ ব্যবসায়ী মহলে প্রবল উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

চিঠি পাওয়ার পরই বড়বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। এরপরই তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ।

একজন পুলিশ আধিকারিক বলেন,

“আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। মাওবাদীদের নাম করে চিঠি দেওয়া হলেও এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না এটি আদৌ তাদের তরফে কি না। হতে পারে এটি প্রতারণার চেষ্টা বা ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের পরিকল্পনা।”

দেগঙ্গার যাঁর কাছে টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে, তাঁর পরিচয় নিয়েও তদন্ত চলছে। একইসঙ্গে ওই চিঠির উৎস ও কাদের দ্বারা প্রেরিত, তা জানার জন্য ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য চিঠিটি পাঠানো হতে পারে বলেও জানা গেছে।

কলকাতার বড়বাজার এলাকা শুধুমাত্র পূর্ব ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ক্ষেত্র নয়, স্বর্ণ ও রত্নব্যবসার কেন্দ্রস্থলও। এরকম একটি ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

এক ব্যবসায়ী জানান,

“এখানে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। এই ধরনের চিঠি পেলে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়ায়। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করা।”

আরও পড়ুন :

দারিদ্র দূরীকরণে বিশ্বব্যাঙ্কের স্বীকৃতি: ভারতের দশকে বড় সাফল্য

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে মৃত্যু: আরসিবির জয় উদযাপন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিসিসিআই সচিব

ad

আরও পড়ুন: