Javed Habib fraud case
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : দেশের অন্যতম জনপ্রিয় হেয়ার স্টাইলিস্ট জাভেদ হাবিব এখন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। উত্তরপ্রদেশের সাম্বল জেলার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলায় (multi-crore fraud case) একাধিক FIR দায়ের করেছে। মামলার তদন্ত জোরদার করতে তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০টিরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে জাভেদ হাবিব, তাঁর ছেলে আনোস হাবিব এবং আরও কয়েকজন সহযোগীর নামে। অভিযোগ, তাঁরা একটি তথাকথিত ইনভেস্টমেন্ট স্কিমের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, ‘Hair and Related Company (HRC)’ এবং ‘Follicle Global Company (FLC)’ নামে দুটি সংস্থা গঠন করা হয়েছিল। এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ রিটার্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বহু মানুষ সেই আশায় টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বিনিয়োগের অর্থ বা লাভের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।
প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তেই জানা যায়, এই স্কিমের সঙ্গে জাভেদ হাবিবের নাম জড়িত। এরপরই তাঁর নামে FIR দায়ের করা হয়।
সাম্বল জেলার পুলিশ সুপার কে. কে. বিষ্ণোই বলেন,
“এই মামলায় ৩৮ জন বিনিয়োগকারী অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁরা কোটি টাকারও বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। হাবিব ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ হাতে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে, যাতে কেউ দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন।”
তদন্তকারীদের দাবি, কোম্পানির নামে একাধিক অ্যাকাউন্টে অর্থ ঘোরানো হয়েছে এবং সেই অ্যাকাউন্টগুলির বেশিরভাগই এখন খালি। পুলিশের অনুমান, বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশি ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে।
তৃতীয় বিয়েও ভাঙছে? শোয়েব মালিক ও সানা জাভেদকে ঘিরে নতুন গুঞ্জন
আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন ডলার দুর্বল কিন্তু ভারতীয় টাকার মুল্য সর্বনিম্ন
জাভেদ হাবিবের আইনজীবী দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত নন।
তাঁরা বলেন,
“হাবিব ও তাঁর ছেলে কেবলমাত্র একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিনিয়োগ বা আর্থিক কার্যকলাপে তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই।”
তবে পুলিশ এখনই তাদের বক্তব্যে বিশ্বাস করছে না। তদন্তকারীরা বলছেন, বেশ কিছু ই-মেইল ও আর্থিক ডকুমেন্টে হাবিবের নাম পাওয়া গিয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থা এখন কোম্পানির সম্পত্তি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যদি প্রমাণ মেলে, তাহলে হাবিবের নামে থাকা ব্র্যান্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিও বাজেয়াপ্ত হতে পারে। ইতিমধ্যেই ED ও Economic Offences Wing (EOW) এই মামলায় যুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন :
ইলিশ রক্ষায় বাংলাদেশের কড়া নজরদারি: যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার ও ড্রোন মোতায়েন
রামপুরহাটে স্বপন বাউল-এর প্রতিবাদ: আদিবাসী নাবালিকা খুনে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি