Breaking News

KasbaLawCollege CampusRape

নিজের কলেজে ‘ধর্ষিতা’ ছাত্রী। ‘ধর্ষক’ পূর্বপরিচিত এবং ছাত্র রাজনীতিতে দু’জনে ‘সহযোদ্ধা

কলকাতার কসবা এলাকার একটি ল’ কলেজে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে কলেজেরই প্রাক্তন ও বর্তমান তিন ছাত্রকে। অভিযোগকারিণী এক তরুণী আইন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান শেষে গার্ডরুমে নিয়ে গিয়ে তাকে ভয় দেখিয়ে হকি স্টিক দিয়ে আঘাত করে ধর্ষণ করা হয়। তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের যোগ থাকা অভিযুক্তদের গ্রেফতার নিয়ে রাজনীতির পারদ তুঙ্গে।

KasbaLawCollege CampusRape Student Gang-Raped Inside

KasbaLawCollege CampusRape

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : গত বুধবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকার একটি বেসরকারি ল’ কলেজে কলেজেরই (KasbaLawCollege CampusRape) এক ২৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার কেন্দ্রস্থল ছিল কলেজ ক্যাম্পাসের গার্ডরুম। এক অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিন অভিযুক্ত—দুজন বর্তমান ছাত্র এবং একজন প্রাক্তন ছাত্র—তাকে ওই ঘরে নিয়ে যায়।

অভিযোগ, ঘটনার মূল অভিযুক্ত একজন প্রভাবশালী প্রাক্তন ছাত্র, কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সঙ্গে যুক্ত। তার সঙ্গে থাকা দু’জন প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীকে গার্ডরুম থেকে বের করে দেয়। এরপর প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ওই তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।

তরুণীর অভিযোগ অনুযায়ী, একজন ধর্ষণ করে এবং অন্য দুইজন পুরো ঘটনা দেখে, তাঁরা বাধা না দিয়ে নির্যাতন চলতে দেয়। অভিযুক্তরা তরুণীকে ভয় দেখায়—বলে, যদি সে মুখ খোলে, তবে তাকে এবং তার পরিবারকে মেরে ফেলা হবে। হকি স্টিক দিয়ে তাকে মারধর করা হয় বলেও তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।

পুরুষের তুলনায় নারীদের যৌনসঙ্গীর সংখ্যা বেশি? NFHS-5 সমীক্ষায় চমকপ্রদ তথ্য

বড় ঘটনার ইঙ্গিত? শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্র একসঙ্গে রথ টানলেন!

ঘটনার পরদিন, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন), তরুণী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ্যে না আনলেও জানা গিয়েছে, একজনের বয়স ৩১, অপর দুইজনের বয়স ১৯ ও ২০।

তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ:

  • ঘটনাস্থলের ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করেছে

  • কলেজের CCTV ফুটেজ পরীক্ষা করছে

  • অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে

  • অভিযোগকারিণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক প্রমাণ পর্যাপ্তভাবে পাওয়া গেছে এবং আরও তদন্ত চলছে।

ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সম্পর্কিত প্রাক্তন ছাত্রের নাম জড়ানোয় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি এবং বামপন্থীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “ছাত্র রাজনীতি এখন ধর্ষণের আশ্রয় হয়ে উঠেছে।”

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, “এই ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন জড়িত। এ থেকে প্রমাণ হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ নিরাপত্তাহীন।”

তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া:
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “আইন আইনের পথেই চলবে। দলীয় পরিচয় দিয়ে অপরাধ আড়াল করার প্রশ্নই নেই। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় কেন্দ্রীয় নারী কমিশন (NCW) নিজে থেকে মামলার হস্তক্ষেপ করেছে। NCW চেয়ারপারসন রেখা শর্মা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন এবং দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কসবা কলেজের বাইরে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও নাগরিকেরা মোমবাতি মিছিল করেছেন। অনেকেই দাবি তুলেছেন—

  • কলেজ ক্যাম্পাসে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ

  • গার্ডরুমের মতো জায়গাগুলোতে CCTV বাধ্যতামূলক

  • রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত তদন্ত ও বিচারের নিশ্চয়তা

আরও পড়ুন :

তুরস্কে ভয়াবহ দাবানল: ইজমিরসহ একাধিক প্রদেশে আগুন, ঘরবাড়ি ফেলে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

শেফালি জারিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যু: মুম্বইয়ের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত ‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী

ad

আরও পড়ুন: