Breaking News

Manojit Mishra CampusRape

গণধর্ষণের পর প্রভাবশালীদের দ্বারে মনোজিত: ‘ব্যাক অফ’ বলেই ফিরিয়ে দিলেন সবাই!”

গণধর্ষণের পর ‘সেটিং’ করতে চেয়েছিল মনোজিত, প্রভাবশালীরা ফিরিয়ে দিলেন মুখের ওপর!

Manojit Mishra CampusRape contacted influential mentors

Manojit Mishra CampusRape

ক্লাউড টিভি ডেস্ক :কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির একটি ল কলেজে ২৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্র (Manojit Mishra CampusRape) অপরাধের পরদিনই একাধিক ‘প্রভাবশালী’ মেন্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে তাঁরা তাঁকে সাহায্য না করে ‘পিছিয়ে যেতে’ পরামর্শ দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জুন রাতে কলেজের নিরাপত্তারক্ষীর কক্ষে মনোজিত মিশ্র, প্রমিত মুখার্জি ও জাইব আহমেদ মিলে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী ব্যানার্জিকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হয়। অপরাধের পর তাঁরা সেখানে মদ্যপান করেন এবং নিরাপত্তারক্ষীকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন। তারপর তাঁরা ইএম বাইপাসের ধারে একটি ধাবায় রাতের খাবার খেয়ে সকালে বাড়ি ফেরেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ধর্ষণের সময় তিনি প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হন এবং শ্বাসকষ্টে ভোগেন। তখন অভিযুক্তরা তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ইনহেলার এনে দিয়ে নির্যাতন চালিয়ে যান।মনোজিত মিশ্র কলেজের প্রাক্তন টিএমসিপি ইউনিট সভাপতি ছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে অতীতে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ছাত্রীদের হয়রানি, সহপাঠীদের মারধর ও কলেজে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার। ২০১৭ সালে কলেজে সংঘর্ষের পর টিএমসিপি ইউনিট ভেঙে দেওয়া হলেও, মনোজিত ও তাঁর অনুগামীরা প্রভাব বজায় রাখেন।

নিজের কলেজে ‘ধর্ষিতা’ ছাত্রী। ‘ধর্ষক’ পূর্বপরিচিত এবং ছাত্র রাজনীতিতে দু’জনে ‘সহযোদ্ধা

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন ২০২৫: আরজি কর আন্দোলনের দুই মুখ এবার গণতন্ত্রের লড়াইয়ে মুখোমুখি

এই ঘটনায় কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ছাত্রছাত্রী ও প্রাক্তন ছাত্ররা জানান, কলেজে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত ও গ্রেফতার: মনোজিত মিশ্র (প্রাক্তন ছাত্রনেতা ও কলেজ কর্মী), প্রমিত মুখার্জি (২০), জাইব আহমেদ (১৯) এবং নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী ব্যানার্জি (৫৫) বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।পরিকল্পিত অপরাধ: কল ডিটেইল রেকর্ড অনুযায়ী, অভিযুক্তরা ২৫ জুনের ঘটনার আগে নিয়মিত যোগাযোগে ছিলেন, যা পূর্বপরিকল্পনার ইঙ্গিত দেয়।

অপরাধের পরের পদক্ষেপ: ঘটনার পর মনোজিত দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মেন্টরদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। মোবাইল টাওয়ার ডেটা অনুযায়ী, তিনি করায়া থানার কাছেও যান।নির্যাতনের ভয়াবহতা: ভুক্তভোগী ছাত্রী প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হলে, অভিযুক্তরা তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে ইনহেলার এনে দিয়ে নির্যাতন চালিয়ে যান।

রাজনৈতিক প্রভাব: মনোজিত মিশ্র কলেজের প্রাক্তন টিএমসিপি ইউনিট সভাপতি ছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে অতীতে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কলেজে রাজনৈতিক প্রভাব ও নিরাপত্তা ঘাটতির অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন:

অনিমেষ কুজুর: ভারতের দ্রুততম মানব হয়ে ইতিহাস গড়লেন ছত্তিশগড়ের তরুণ

‘গাজার জন্য নীরবতা’: আধঘণ্টার ডিজিটাল প্রতিবাদের ডাক দিল সিপিআই(এম)

ad

আরও পড়ুন: