বেসামরিক উড়োজাহাজকে শিখণ্ডী হিসেবে ব্যবহার করে ভারতের ওপর ড্রোন হামলা চালাল পাকিস্তান

Pakistan Drone Attack

নিউ দিল্লি, ৯ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি) : ভারতের বিরুদ্ধে আরও একবার সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ল পাকিস্তান (Pakistan Drone Attack)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা খোলা রেখে সাধারণ বেসামরিক বিমান চলাচল অব্যাহত রাখে, আর সেই সুযোগে গোপনে তুরস্কে তৈরি ড্রোন পাঠিয়ে ভারতের বিভিন্ন শহরের দিকে আক্রমণ করে।

সরকারি ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান জেনে-শুনে বেসামরিক বিমানের সুরক্ষা ঢাল (Pakistan Drone Attack) হিসেবে ব্যবহার করেছে যাতে ভারত পাল্টা আক্রমণ চালাতে না পারে। এই ধরনের চালাকি শুধু নীতিগতভাবে ভুলই নয়, এটি আন্তর্জাতিক আইনেরও চরম লঙ্ঘন।

সরকার জানায়, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের আকাশে একাধিক আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বেসামরিক বিমান চলাচল করছিল। এরই মধ্যে পাকিস্তান চুপিসারে তুরস্কে তৈরি কামিকাজে ড্রোন লঞ্চ করে, যেগুলো সরাসরি ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা এবং শহরের দিকে ছুটে আসে।

এক সরকারি আধিকারিক বলেন,

“পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে আকাশসীমা বন্ধ করেনি, যেন তাদের ড্রোন হামলার সময় ভারতের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা চালানো কঠিন হয়। তারা জানে, যদি আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নিই, তাহলে বেসামরিক বিমানে আঘাত লাগার আশঙ্কা বাড়ে।”

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতের ওই ড্রোন হামলাগুলি জম্মু, পাঠানকোট ও অমৃতসরের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়। বেশ কিছু ড্রোন ভারতীয় আকাশসীমায় ঢোকার আগেই গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হয়। কিছু ড্রোন সীমান্তবর্তী খোলা এলাকায় বিস্ফোরিত হয়, তবে কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো মেলেনি।

প্রতিরক্ষা সূত্র অনুযায়ী, পাকিস্তান ‘Bayraktar TB2’ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করেছে, যেগুলি তুরস্কে তৈরি। এই ড্রোনগুলো নির্দিষ্ট শহরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, যেমন যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র এবং সামরিক সরঞ্জামভাণ্ডার লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়।

তবে, ভারতীয় বায়ুসেনা ও প্রতিরক্ষা বাহিনী সজাগ ছিল। আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও অন্যান্য রাডার সিস্টেমের সহায়তায় বেশিরভাগ ড্রোন মাঝপথেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ভারত সরকার কড়া ভাষায় জানায়, “এটি শুধুমাত্র এক দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়, এটি আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধ।” পাকিস্তানের এই কর্মকাণ্ড ১৯৪৪ সালের শিকাগো কনভেনশন এবং ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (ICAO) রীতিনীতির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে বিদেশ মন্ত্রক।

ভারত এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরার পরিকল্পনা করছে। সরকারের বক্তব্য, পাকিস্তান যদি ড্রোন হামলা চালাতেই চায়, তাহলে আকাশসীমা বন্ধ করে যুদ্ধের সাধারণ নিয়ম মেনে চলতে পারত। কিন্তু বেসামরিক উড়োজাহাজের নিরাপত্তা বিপন্ন করা এক অমানবিক কৌশল।

সরকার জানিয়েছে, দেশের আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখতে ভারতীয় সেনা ও বিমানবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। আকাশ ও রুদ্রম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায়। ভারত এখন “নো টলারেন্স” নীতিতে চলছে এবং ভবিষ্যতে এর কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত।

#PakistanDroneAttack #CivilianShield #IndiaSecurityAlert #BayraktarTB2 #AirspaceViolation #IndiaVsTerror
#InternationalLawBreach #UNAlert #ICAOComplaint #DefendIndia

আরও পড়ুন :

রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ড্রোন হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই IMF থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো ড. কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামণিয়ানকে, পুরনো মন্তব্য ভাইরাল