Breaking News

Harvard Global Students

হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ: ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের "স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম" (SEVP) বাতিল করেছে।

Harvard Global Students Face Admission Challenges %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Harvard Global Students

ক্লাউড টিভি ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম এবং অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের (Harvard Global Students) ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আইন মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় হার্ভার্ডের “স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম” (SEVP) প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এটি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি সতর্কতা হিসেবে কাজ করবে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই পদক্ষেপকে বেআইনি বলে অভিহিত করেছে এবং এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা আমাদের কমিউনিটির সদস্যদের দ্রুত নির্দেশনা ও সহায়তা দিতে কাজ করছি। এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হার্ভার্ড সংশ্লিষ্ট সবাইকে ও আমাদের দেশের জন্য গুরুতর ক্ষতির হুমকি তৈরি করে এবং হার্ভার্ডের একাডেমিক এবং গবেষণা মিশনকে দুর্বল করে।”

২০২৪ সালে বিশ্বে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে: অ্যামনেস্টি

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারের হাতছানি—বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

এই সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত হাজারো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, গত শিক্ষাবর্ষে ছয় হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল সেখানে, যা এর মোট শিক্ষার্থীদের ২৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত হঠাৎ করেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপরও চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। গত এপ্রিল মাসে ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘ দাবির তালিকা পাঠানোর পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মামলা করার ঘোষণা করে । পরে হোয়াইট হাউস বলে যে তালিকাটি ভুলবশত পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও, নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অন্যান্য প্রধান মার্কিন প্রতিষ্ঠানে চাপ দিয়ে ছাড় আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী অস্ট্রেলিয়ান ছাত্রী সারাহ ডেভিস বলেন, “আমাদের অনেকের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার মাত্র পাঁচ দিন আগে এই খবরটি এলো। আমরা পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবো কি না এবং এখানে কাজ চালিয়ে যেতে পারব কি না, এরকম আরও অনেক অনিশ্চয়তার ওপর স্পষ্টতই এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে।”

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইডেনের ৩২ বছর বয়সী স্নাতক লিও গেরডেন বলেন, “হোয়াইট হাউস ও হার্ভার্ডের মধ্যে যুদ্ধে বিদেশি ছাত্রদের জুজুর মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা অবিশ্বাস্যভাবে অমানবিক।”

এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর চাপ বাড়ানোর মাধ্যমে প্রশাসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রতি কঠোর মনোভাব গ্রহণ করছে, যা দেশের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা এবং বৈচিত্র্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

আরও পড়ুন :

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস হতাশ, পদত্যাগের ইঙ্গিত

ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চাপ বাড়াল বিএনপি

ad

আরও পড়ুন: