Breaking News

american university of baghdad

সাদ্দামের ‘ওয়াটার প্যালেস’ এখন উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র : আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বাগদাদে প্রথম স্নাতক সমাবর্তন

টাইগ্রিস নদীর এক কৃত্রিম হ্রদের মাঝে গড়ে উঠা এই প্রাসাদটি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৫ কিমি দূরে অবস্থিত।

American University of Baghdad: A New Era %%page%% %%sep%% %%sitename%%

american university of baghdad

২৭ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি) : এক সময়ের শাসক সাদ্দাম হোসেনের বিলাসবহুল আল-ফাও প্রাসাদ এখন রূপ নিয়েছে শিক্ষার আলো ছড়ানো এক আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে (american university of baghdad)। বাগদাদের বিখ্যাত এই প্রাসাদ, যা ‘ওয়াটার প্যালেস’ নামেও পরিচিত, বর্তমানে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বাগদাদ (AUB) হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল প্রথমবারের মতো স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠান।

গত ২৪ মে আয়োজিত এই ঐতিহাসিক সমাবর্তনে অংশ নেন মোট ৩৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী শিক্ষার্থী ব্যবসা প্রশাসন, বিজ্ঞান এবং মানবিক শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, শিক্ষক, এবং রাজনৈতিক বিশিষ্টজনেরা।

১৪.৯২ গড়ে ৭১ উইকেট—বুমরার মতো বোলার ক্রিকেট দৃশ্য দেখেনি অনেকদিন

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারের হাতছানি—বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

প্রাসাদটি বর্তমানে যেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, তাতে ইতিহাস, রাজনীতি ও শিক্ষার এক অনন্য সংমিশ্রণ ঘটেছে। টাইগ্রিস নদীর এক কৃত্রিম হ্রদের মাঝে গড়ে উঠা এই প্রাসাদটি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৫ কিমি দূরে অবস্থিত। ৬২টি কক্ষবিশিষ্ট এই স্থাপনাটি তার দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য এবং কারুকার্যের জন্য অতীতেও বহুবার আলোচনায় এসেছে। প্রাসাদের দেয়াল, ছাদ, এবং স্তম্ভজুড়ে খোদাই করা রয়েছে সাদ্দামের নাম, যা আজও ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

১০ মিটার উচ্চতার কারুকাজখচিত প্রধান দরজা, সোনার প্রলেপযুক্ত বাথরুম, মার্বেল মেঝে ও বিশাল ঝাড়বাতি– সব মিলিয়ে এটি ছিল এক রাজকীয় প্রাসাদ। ১৯৮৮ সালে আল-ফাও উপদ্বীপ পুনরুদ্ধারের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে এই প্রাসাদ নির্মাণের নির্দেশ দেন সাদ্দাম হোসেন। নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৯০-এর দশকে এবং প্রায় ২,০০০ শ্রমিক এই প্রকল্পে নিযুক্ত ছিলেন, যাদের মধ্যে কারাবন্দি শ্রমিকরাও ছিলেন।

এক সময়ের স্বৈরাচারী শাসকের প্রতীক এখন পরিণত হয়েছে শিক্ষা ও মুক্তচিন্তার প্রতীক হিসেবে। এই রূপান্তর ইরাকের সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে: অতীত যতই অন্ধকারাচ্ছন্ন হোক, ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা যায় জ্ঞানের আলোয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এইউবি-র এই পদক্ষেপ কেবল শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, বরং প্রতীকী অর্থেও বড় এক বিজয়। যেখানে এক সময় নির্যাতনের ছায়া ছিল, সেখানেই আজ আশার আলো।

আরও পড়ুন :

পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সিআরপিএফ এএসআই গ্রেফতার, জঙ্গি হামলার ছয় দিন আগে পর্যন্ত পহেলগাঁওয়ে

মাত্র ২ রানে অলআউট! ২১৫ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙল মিডলসেক্সের ক্লাব ম্যাচ

ad

আরও পড়ুন: